মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) বুধবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, বীরভূমে সহিংসতার অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলকাতায় নেতাজি ইনডোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মমতা

বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন যে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি বৃহস্পতিবার সহিংসতা-কবলিত বীরভূম জেলা পরিদর্শন করবেন।

এদিন বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিজেপিকেও এক হাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বীরভূম হত্যাকাণ্ড ঠিক নয়, কিন্তু এই ধরনের ঘটনা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং রাজস্থানে বেশি ঘটে।”

তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে এও বলেন, “আমি আজই রামপুরহাটে যেতাম, কিন্তু আজ তারা ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যাচ্ছে। আমি চাই না পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে। তাই আমি কাল যাব।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের হত্যার সন্দেহজনক পরিণতিতে

মঙ্গলবার ভোরে বগটুই গ্রামে প্রায় এক ডজন বাড়ি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় দুই শিশু সহ আটজন মারা গেছে।

ভাদু ছিলেন বারশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দিনই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার আরও নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় যাদের আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজ্য সরকার ঘটনার তদন্তের জন্য অতিরিক্ত মহাপরিচালক জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে।

মহকুমা পুলিশ অফিসারের সাথে রামপুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বীরভূম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন করে নিশানা করেন এবং তাকে আরেকটি চিঠি দেন।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে (Mamata) তিন পৃষ্ঠার চিঠি লিখে উত্তর দেন। তিনি বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার প্রতি তার সংযত প্রতিক্রিয়ায় অভিযুক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

ধনখড় মঙ্গলবার রামপুরহাটে আট জনের মৃত্যুকে ভয়ঙ্কর বলে বর্ণনা করেন এবং দাবী করেন যে, রাজ্য হিংসা ও অনাচারের সংস্কৃতির কবলে পড়েছে।

রাজ্যপাল আরও বলেন, “কয়েকটি ঘটনা বাদ দিয়ে রাজ্য সর্বদা শান্তিপূর্ণ ছিল এই দাবীর চেয়ে প্রহসনমূলক আর কিছু হতে পারে না।”