হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল সাড়ে চারটার সময় ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসঙ্ঘের মেলায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। তিনি টুইটারে ২০১৯ সালের ঠাকুরনগর সফরের ছবি শেয়ার করে স্মৃতিচারণ করেন। সফরের সময় তিনি ঠাকুরবাড়ির বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের সাথে দেখা করেছিলেন।
তিনি টুইটারে স্মৃতিচারণা করে লেখেন, ‘২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমার ঠাকুরনগর যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। এটি ছিল এমন একটি সফর যা আমি কখনোই ভুলব না। বড়ো মা বীণাপানি ঠাকুরের আশীর্বাদ পেয়ে আমি ধন্য হয়েছিলাম।’
পাশাপাশি আরও একটি টুইটের মাধ্যমে তিনি মঙ্গলবারে সুচির কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ‘আগামিকাল, ২৯ মার্চ বিকেল সাড়ে চারটের সময় মতুয়া ধর্ম মহামেলা ২০২২-এ ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমরা হরিচাঁদ ঠাকুরজির জন্মজয়ন্তীও পালন করব। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন সামাজিক ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণের জন্য উত্সর্গ করেছিলেন।’ বড়মার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ওড়াকান্দি দর্শনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে মতুয়া ধর্ম মহামেলা। এই মহামেলায় প্রধানমন্ত্রীর(Narendra Modi) বক্তৃতা শোনানোর জন্য অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে ১৫ টি জায়েন্ট স্ক্রিন বসানোর ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে আজকে এই মতুয়া ধর্ম মহামেলায় বড় কোনো ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হরিচাঁদ ঠাকুর স্বাধীনতার আগে অবিভক্ত বাংলার নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের উন্নতির জন্য তাঁর সমগ্র জীবন উত্সর্গ করেছিলেন। ১৮৬০ সালে ওরাকান্দি থেকে তাঁর সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তা থেকেই মতুয়া ধর্ম গঠন হয়।’ জানা যাচ্ছে ২৯ শে মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই মতুয়া ধর্ম মহামেলা।