প্রত্যেক নারী কাটছে তার চুল হচ্ছে সৌন্দর্য।ইতিমধ্যেই গরমকাল পড়ে গেছে। আর এই গরমকালে নাজেহাল আমরা সবাই। কোনো না কোনো কারণে আমারে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়।কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুলপড়ার,নির্জীব ও রুক্ষতা, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া মতো নানা কারণ দেখা যাচ্ছে । যার ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । আজকার নিজের চুলের সৌন্দর্য তুলে ধরতে আমরা বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কিন্তু এ সমস্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে ব্যবহার করুন ঘরোয়া উপায়। যেমন কিছু ঘরোয়া উপায়ে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলেই আপনি চুল পাতলা হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।
চুল ঘন(thick hair )করতে ডিমের জুরি মেলা ভার। ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা বায়োটিন চুলকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। ডিমের(Egg) সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন লেবু ও মধু। য়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সবচেয়ে ভালো ফল পেতে প্যাক লাগানোর আগের দিন রাতে চুলে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে নিন। চুল ঘন আর কোমল হবে।
আমলকির (Amla )তেল চুল মজবুত এবং ঘন(thick hair ) করতে অনেক কার্যকরী।আমলকি নারকেল তেল সাথে মিশিয়ে তেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।নারকেল তেল সাথে টুকরো করে কাটা আমলকি দিয়ে জ্বাল করতে হবে বাদামি না হওয়া পর্যন্ত। ঠান্ডা হলে মাথার স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে পরদিন শ্যাম্পু করে নিন । চুল ঘন এবং কালো হবে।
ঘন, চকচকে এবং মজবুত রাখতে, স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কিংবা চুলের গ্রোথ স্বাভাবিক রাখতে এই অ্যামাইনো অ্যাসিড খুব উপকারী। তরমুজে রয়েছে সাইট্রুলিন যা, এই অ্যামাইনো অ্যাসিডকে শরীরে শোষিত হতে সাহায্য করে। ফলে চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও এই ফল কার্যকরী। প্রতিদিন ডায়েটে তরমুজ রাখুন। উপকার পাবেন।
আধা ক্যাপ অ্যালোভেরা জেল, ২ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল, (Castor oil)২ চা চামচ মেথি গুঁড়ো নিয়ে মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে নিন। ওই পেস্টটা চুল, স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগান। ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকা গরম জলে কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুল ঘন(thick hair ) এবং পাতলা হওয়ার সমস্যা কমবে।
Image source-google
আরও পড়ুন Wrinkles:চোখের নিচে বলিরেখা বা রিংকেলস থেকে মুক্তি পেতে দেখে নিন এই ঘরোয়া উপায় গুলি