লাগাম ছাড়া সারের দাম বৃদ্ধি, সার কিনতে নাজেহাল কৃষকেরা। আর এই কালো বাজারে সমস্যায় ভুগছেন কৃষক। শীতের শুরুতে আলু চাষে প্রয়োজন অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার। আর গত বছরের রেস কাটতে না কাটতেই এ বছরও রাসায়নিক সার নিয়ে উঠছে কালো বাজারির অভিযোগ। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া কৃষকদের।

মালদা জেলার পুরাতন মালদা ব্লকে হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, আলু চাষে রাসায়নিক সার হিসেবে NPK সারের চাহিদা বেশি, আর তাই সরকারি নির্ধারিত দাম থেকেও বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। উল্লেখ্য, যেখানে সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে প্রিন্ট রেট অর্থাৎ সারের বস্তায় লেখা থাকা দামে রাসায়নিক সার বিক্রি করতে হবে, সেখানে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের প্রিন্ট রেট ১,৪৭০ টাকা থেকে ৪০০-৫০০ টাকা চড়া দামে বিক্রি করছে। ফলে প্রয়োজন থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই চড়া দামে সার কেনা ছাড়া গতি নেই কৃষকদের। যার কারণে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ীরা। তবে এই কালোবাজারির পিছনে কৃষি দফতর জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠছে।

এদিকে রাসায়নিক সারের কালোবাজারির অভিযোগ তুলে, বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের খেটে খাওয়া কৃষকেরা একত্রিত হয়ে কালোবাজারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন। এদিন আদিনা হাট খোলা এলাকায় রাসায়নিক সারের কালোবাজারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তারা। তবে কৃষকদের আরও গুরুতর অভিযোগ রাসায়নিক দোকানে সার কিনতে গেলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং পাকা রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে, সার ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবী, বাজারে যে সারের চাহিদা রয়েছে সেই সারের যোগান খুবই কম। তারা নিজেরাও ডিলারদের কাছ থেকে সঠিক দামে পাচ্ছে না। যার ফলে তাদেরকেও বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের কাছে।

তবে রাসায়নিক সারের কালোবাজারি নিয়ে সরাসরি ব্লক কৃষি সহ-অধিকর্তা সৌমজিৎ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কালোবাজারির সাথে যুক্ত তাদের হাতেনাতে ধরতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তবে, আদতেই কেবল ব্যবসায়ীরা জড়িত কিনা সে তো সময়ই বলবে।

 

 

আরো দেখুন:Rajarhat Newtown:কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজারহাট নিউটাউন গৌরাঙ্গনগর বাজারে প্রতিবাদ সভা