পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) এগরায় অবৈধ বাজি কারখানার বিস্ফোরণ কান্ডে রাত ন’টা নাগাদ কলকাতা থেকে বোম্ব স্কোয়ার্ড (Bomb squad) ও সিআইডি টীম (CID team) এসে পৌঁছায়। ইতিমধ্যেই তাঁরা ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে.। এগরায় খাদিকুল গ্রামে অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জন। এদের মধ্যে বেশীরভাগ মহিলা বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই দিনের বাজি কারখানায় মৃতেরা হলেন,-
অম্বিকা মাইতি; স্বামী সুরেশ মাইতি,
মাধবী বাগ; স্বামী-সঞ্জিত বাগ
শ্যামাশ্রী মাইতি; স্বামী রবীন্দ্র মাইতি
কবিতা বাগ; স্বামী উমাপদ বাগ
মিনতি মাইতি; পিতা শীতল মাইতি
শক্তিপদ বাগ; পিতা স্বর্গীয় অনন্ত বাগ
জয়ন্ত জানা; পিতা স্বর্গীয় ভৈরব জানা
বাপন মাইতি; পিতা গৌরাঙ্গ মাইতি
তবে, এক জনের নাম এখনও জানা যায়নি। এই দিন ঘটনার প্রতিবাদে গোটা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ দুপুর থেকেই দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রয়েছেন। মাঝে মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা।
স্থানিয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর ধরে এলাকায় দাপটের সঙ্গে বাজি কারখানা চালাচ্ছিল বছর পঞ্চাশের কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। বিভিন্ন জায়গায় বাজি প্রতিযোগিতায় সেরার তালিকায় ভানু বিচরণ করত। গোটা বছর এলাকার সব থেকে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলিতে বাজি প্রদর্শনী ছিল ভানুর নেশা। তবে, এভাবে অবৈধ বাজি কারখানা চালাতে গিয়ে আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ভানু। এইদিন অল্পের জন্য ভানু বেঁচে গিয়েছে বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী। এদিন কারখানার পাশের রান্নাঘরে ছিলেন ভানু। এমনকি, বাজি বিস্ফোরণে তাঁর হাতও ঝলসে গিয়েছে বলেই খবর। তবে, দুর্ঘটনার পরেই জমি টপকে স্বপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগকে গ্রেফতার করার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় তৈরি হয়েছে চাপা উত্তেজনা।
আরো পড়ুন:Mahsin Khan: বাবাকে আইসিইউতে রেখে বাইশ গজে মহসিন খান