শুধু খাতায়-কলমে নয়, জীবনের পাঠও দেওয়ার গুরুভার থাকে শিক্ষকদের উপরে। কিন্তু, সেই শিক্ষকই যদি ছাত্রদের ভুল পথে চালনা করেন? পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখতে সাহায্য করছেন শিক্ষকরাই! পরীক্ষার হলের মধ্যেই চলছে মোবাইল নিয়ে টুকলি। সম্প্রতি এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল কেশপুরের (Keshpur) ৪ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মহিষাগাড়া হাই মাদ্রাসা-তে।
গ্রীষ্মের দাবদাহের জন্য পড়ুয়াদের স্বাস্থের কথা ভেবে সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশ করে এক সপ্তাহ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, ছুটি থাকাকালীনও বেশ কয়েকটি স্কুলে চলছে পরীক্ষা। তেমনই একটি স্কুল হল কেশপুর ৪ নম্বর ব্লকের মহিষাগাড়া হাই মাদ্রাসা। এদিন সেখানের পড়ুয়াদের ছিল পরীক্ষা এবং সেই পরীক্ষাতেই ছাত্রদেরকে টুকলি করতে সাহায্য করতে দেখা গেল শিক্ষকদের।
জানা গিয়েছে, সংবাদমাধ্যম এই ছবি তুলতে গেলে তাদের মারার হুমকি দেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কেড়ে নেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা, বুম, মোটর বাইক, ব্যাগ। দীর্ঘ এক ঘণ্টার যাবৎ আটকে রাখা হয় তাদের। এমনকি, মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হুমকি সুরে চলে অকথ্য গালিগালাজও। জোর করে মোবাইলে সাংবাদিকের ছবি তুলতে থাকে তারা, নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে সংবাদিককে জোর করে বলাতে থাকে, দশ হাজার টাকা চেয়েছি তাদের কাছ থেকে। চলে মারধোর ঘুষি! সেই সাথে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফুটেজ ডিলিট করার চেষ্টাও করা হয় বারবার।
পাশাপাশি এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, সাংবাদিককে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেন শিক্ষকরা। অতঃপর দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কোনো এক মহল থেকে শিক্ষকদের কাছে একটি ফোন আসে এবং তারপরেই একে একে সাংবাদিককে ফেরত দেওয়া হয় তার মোবাইল, ব্যাগ, বুম এবং মোটরসাইকেলের চাবি। তবে, বাড়ি ফেরার সময় তাকে জোর পূর্বক একটি ভিডিও রেকর্ড করানোর চেষ্টা চলে যেখানে বলতে বলা হয়, তাকে তারা আটকে রাখেননি এবং তাকে এমনও হুমকি দেওয়া হয় যে, এই প্রতিশ্রুতি না দিলে তাকে ছাড়বেন না তারা।
এমন ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, সংবাদমাধ্যম সত্য খবর প্রকাশ করলেই কেন এত গোসা হচ্ছে সকলের? উত্তর হয়তো সকলেরই জানা। কিন্তু, প্রকাশ করতে কেউই পারছেন না।
আরো পড়ুন:পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ!ব্যাহত যান চলাচল