তেলেঙ্গানাতে দাঁড়িয়ে শনিবার কেসিআর সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে মিলছে না কোনও সহযোগিতা।রাজ্যে উন্নয়নের পথে আজ বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেসিআরের দল।
শনিবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা-সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে তেলেঙ্গানায় পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।বিজেপির কট্টর বিরোধী বলে বিশেষ পরিচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর।শোনা গিয়েছিল, তিনি এই অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত থাকবেন না। কাজেও তাই হল।ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধানকে বন্দেভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা অনুষ্ঠানে দেখা গেল না।আর তাতেই কার্যত ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী।আর সেই ক্ষোভ নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যে উঠে আসে।যদিও কেন সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেলেন তা নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতর কিছু জানায়নি।
এদিন বিআরএসকে ভয়ঙ্কর আক্রমণ করেন মোদী।মোদী এদিন বলেন, ‘স্বজনপ্রীতি আজ তেলেঙ্গানার গরীব মানুষের রেশন কেড়ে নিচ্ছে’। প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ‘যারা তাদের দুর্নীতি থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন সেখানেও তাদের সুরক্ষা মিলছে না, আদালতও তাদের তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে।
মোদীর অভিযোগ,তেলঙ্গানার মানুষের জন্য কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজে বাধা দিচ্ছে বিআরএস।এছাড়াও এদিন তাঁর কথাতে করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও উঠে আসে।বলেন, করোনা সংক্রমণ এবং রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অর্থনীতিতে একটা ডামাডোল চলছে।
কিন্তু এই অনিশ্চিয়তার মধ্যেও পরিকাঠামো উন্নয়নে রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগকারী দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম বলেও এদিন প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, এই আর্থিক বছরে পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই কাজে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা দেখা দিচ্ছে বলে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাতে তেলেঙ্গানার মানুষের স্বপ্ন প্রভাবিত হচ্ছে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন তিনি।
পাশাপাশি কেসিআর সরকারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আবেদন করে জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানার জনগণের জন্য তৈরি করা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করবেন না। তেলেঙ্গানার প্রগতি ভারতের বিকাশের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও এদিন মন্তব্য করেন মোদী।
অন্য দিকে বিরোধীদের নাম না করে আক্রমণ করে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বহু মানুষ উন্নয়নকে ভয় পায়। দেশ ও সমাজের উন্নতি নিয়ে তাদের কিছু করার নেই । তারা শুধু তাদের পরিবারের সমৃদ্ধি দেখতে চায়। তেলেঙ্গানার মানুষদের এমন মানুষদের সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে কিছু রাজনৈতিক দল সুরক্ষা কবচ চাইতে আদালতে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে যেন দুর্নীতির খাতাটি খোলা না-হয়।কিন্তু আদালত তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।”
আরো পড়ুন:Karan Johar: নিজের হাতেই অনুষ্কার কেরিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন কর্ণ, নিজেই স্বীকার করলেন তিনি