নেই ডিজিটাল রেশন কার্ড,বৃদ্ধ ভাতাও করে দেননি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য!অভিমানে আর কোনো প্রকল্পের সুবিধা নিতে আবেদন করেননি বাসিন্দারা।আর এবার দুয়ারে দূত কর্মসূচিতে বিধায়ককে কাছে পেয়েই উগ্রে দিলেন সমস্ত অভিযোগ।ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার বাগদার (Bagdah) গাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নকফুল মাঠপাড়া এলাকায়।
শুক্রবার দিদির দূত কর্মসূচিতে বাগদা বিধানসভার গাড়াপোতা পঞ্চায়েতের নকফুল মাঠপাড়া এলাকায় আসেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং মাঠপাড়া প্রাইমারি স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি।এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় সিপিআইএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সুবল করাতির সাথে কথা বলেন বিশ্বজিৎ।আর তার জেরেই সুবল বাবু জানান,-তিনি দুচোখে দেখতে পান না। এ কথা শোনা মাত্রই বিশ্বজিৎ দাস তার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তিনি পান কিনা তাও জিজ্ঞেস করেন।সেই প্রশ্নের উত্তরে সুবল করাতি জানান, তিনি কোনো প্রকল্পের সুবিধা নেন না।এমনকি, তার ডিজিটাল রেশন কার্ডও নেই এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বৃদ্ধ ভাতা করে না দেওয়ায় তিনি আর কোনো সুবিধাই নেন না।
এরপর পাড়ার বাকি বাসিন্দাদের থেকে তাদের অভিযোগ জানতে সকলের বাড়ি বাড়ি যান ওই বিধায়ক।আর সেখানে গিয়েই তিনি জানতে পারেন,এই গ্রামের অনেকেই ঘর পাননি,কেউ কেউ বৃদ্ধ ভাতা পাননি,আবার কেউ কেউ লক্ষ্মীর ভান্ডারও পাননি।এমনকি, তারা বেশ কয়েকবার আবেদন করার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তাদের না পাওয়ায় থেকে গিয়েছে।সব শুনে বিধায়ক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে এবং তারা যাতে এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পান তারও ব্যবস্থা তিনি করবেন।
*ব্যুরো রিপোর্ট*