প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের সঙ্গে কখনোই একচক্ষু আচরণ করে না!লক্ষীবারে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে এমনই কথা বলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)।মূলত,বরাবরই মমতা সরকার বলে থাকেন,কেন্দ্র তাদের প্রকল্প থেকে বাঁদ দিচ্ছে রাজ্য সরকারকে।সেই কথা এবার উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।সেখানেই তিনি বলেন,-“কেন্দ্রীয় সরকার কোনো প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এই রাজ্যের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেনি।”এরপরই মন্ত্রী অভিযোগ করেন,-“এই রাজ্যে একশো দিনের কাজের জন্য কেন্দ্র অর্থ দিয়েছে।প্রচুর কাজ অনুমোদন করা হয়েছে,কিন্তু এই প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।কেন্দ্রের তরফে তিনবার দল এসে তদন্ত করে দুর্নীতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানালেও,মুখ্যমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থ্যা নিয়েছেন তা এখনো কেন্দ্রকে জানাননি।কেন্দ্রের চিঠির জবাব দিলেই,কেন্দ্র এই প্রকল্পে রাজ্যের দাবি মত অর্থ দেবে।”কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আরো সংযোজন,-“প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সারা দেশে ৩ কোটিরও বেশি পাকাবাড়ি কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষদের করে দিয়েছে।এই রাজ্যও সেই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়নি।কিষান সম্মান নিধির অর্থ এই রাজ্যের কৃষকরা পাচ্ছেন।প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে কোভিডের সময় থেকে বিনামূল্যে রেশনও পাচ্ছেন,অথচ মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে রাজনীতি করছেন,মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবারের থেকে পড়ুয়াদের একাংশ বঞ্চিত হচ্ছে।সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে কেন্দ্রের সব প্রকল্প রাজ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।”

পাশাপাশি শাসক দলকে ভোট না দেওয়া হলে রাজ্য সরকারের হিংসা বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করেন।বলেন,-শাসক দলকে ভোট না দেওয়ার জন্য ভোটারদের বাড়ির মহিলাদের হেনস্থা ও তাদের বাড়ির উপর হামলা হয়েছে।এই কাজ সম্পূর্ণভাবে সংবিধান ও আইনবিরোধী।

 

আরো পড়ুন:Anubrata Mondal:৩ ফেব্রুয়ারি অব্দি অনুব্রত জেলেই থাকবে!নির্দেশ আদালতের