বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস,তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা।এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।এই ঘটনা নিয়ে বিধায়কের দফতরে সালিশি সভায় হাজির হয় সব পক্ষ।সেখানেই বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার (Chandana Sarkar) নিদান দেন,দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে মিটমাট করে নিতে হবে এই বিবাদ। এরপরই এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা।
জানা যায়,দীর্ঘদিন আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তুলে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা।মালদার (Malda) কালিয়াচকের বাসিন্দা তরুণীর দাবি, বীরনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান পল্টু মণ্ডল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে ৫ বছর ধরে সহবাস করেছেন।এর পর বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি। তখনই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।
বৈষ্ণবনগর থানার বীরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়।ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৪১৭ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে কালিয়াচক থানার পুলিশ।অভিযোগ, এরই মধ্যে সালিশি করে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারের নিদান দেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার (Chandana Sarkar)।
এমনকি সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে বিধায়ক দাবি করেন, ‘মেয়েটির পরিবার আমাকে মিটমাট করে দিতে বলেছিল। তাই হস্তক্ষেপ করেছি। আর আমাদের এখানে এরকম গ্রাম্য বিচারসভা বসে। এটা নতুন কিছু নয়।’
সঙ্গে তাঁর আরো সংযোজন, ‘মেয়েটার চরিত্র সম্পর্কে যেটা জানলাম, ওঁর এরকম একটা অবৈধ সম্পর্ক নয়, ৩০৪ জায়গায় এরকম অবৈধ সম্পর্কে জড়িত আছে। এর আগেও এক শিক্ষকের সঙ্গে এরকম ঘটনা করেছেন। মেয়েটা আর কি ভাল চরিত্রের নয়, খবর পেলাম।’
তবে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী অবশ্য বলেন, একবার কেস রেজিস্ট্রার হয়ে গেলে তার বিচার হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। এবং বিচার বিভাগ সব কিছুর ঊর্ধ্বে। কোনওভাবেই এই ক্ষেত্রে এমন মন্তব্য করা যায় না।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন। স্বামী ঘরে না থাকার সুযোগ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পল্টু মণ্ডল তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে। গত তিন মাস ধরে পল্টু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় তিনি বিধায়কের কাছে যান। এরপরই বাড়িতে ডেকে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
এদিকে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, ‘এরা লুঠ করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, শরীর-টাকা কিছুই ছাড়ছেন না। একজন মহিলার সভ্রমের দাম ঠিক করে দিচ্ছেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়ক। যে বিধায়ক এই মন্তব্য করেছেন মমতার উচিত তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে নতুন করে ভোট করানো।’
আরো পড়ুন:CPIM:বানতলায় সিপিএমের মিছিলে তৃণমূল দুষ্কৃতি রাজে,আহত ৭!