বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আগেই পথ অবরোধ করল তৃণমূল (TMC)।জানা যায়,এমনি ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামে।পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করছে বিজেপি। বিকেলে নন্দীগ্রামের মহেশপুরে বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে।কিন্তু তার আগেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন শাসক শিবির।
তারা জানান,মাঝরাতে এই এলাকায় তাদের পতাকা, ব্যানার ছিঁড়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের মারধরও করা হয়েছে।এই অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রামের মহেশপুরে রাস্তায় বসে অবস্থান অবরোধ বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেয় তারা তাদের দাবি,সব জেনেও চুপ করে আছে পুলিশ।
বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তৃণমূলকর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালায়,তার ফলে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।প্রায় তিনঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অনুষ্ঠানের আগেই মঞ্চের কাছে তেখালি-নন্দীগ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয় ওই এলাকায়।পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।তৃণমূলের এই বিক্ষোভ ঘিরে যথেষ্টই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এই ঘটনা সম্পর্কে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, ” বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। দলের পতাকা ছিঁড়ে দিচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী গুণ্ডা পাঠিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা করাচ্ছে। মামলা করার পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। এবার ওরা আমাদের দলের পতাকা ছিঁড়ল।”যদিও শাসক দলের তোলা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি। তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ” তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।”
আরো পড়ুন:Skoch Award:একাধিক ক্ষেত্রে স্কচ অ্যাওয়ার্ড এসেছে রাজ্যের ঝুলিতে!অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর