শেষ হয়েও শেষ হল না দুর্গাপুজো।কারণ করোনা পরিস্থিতির জেরে গত দু বছর কার্নিভ্যাল না হলেও এবার পুজো কার্নিভালে মেতে উঠেছে প্রায় সব ক’টি জেলা।ব্যতিক্রম নয় বারাসাতও।দেখা যায় শুক্রবার বিকেল ৪ টে নাগাদ বারাসাতের বুকে পুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।আর যা নিয়ে বারাসাতবাসীর মধ্যে উন্মাদনা দেখা যায় তুঙ্গে।হবে নাই বা কেনো বারাসাতে এই প্রথম যে শুরু হল দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল।

এদিনের এই কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন,- খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জেলাশাসক সরোদ কুমার দৃবেদি, পুলিশ সুপার রাজ নারায়ন মুখার্জি, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী, রফিকুর রহমান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।এদিন বারাসাতের এই কার্নিভালে জেলার মোট ২২টি পুজো কমিটি তাঁদের মাতৃ প্রতিমা সহ সুসজ্জিত ট্যাবলো ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সাথে নিত্য পরিবেশন করেন।এরপর শোভাযাত্রা ও নিত্য পরিবেশনের ডালি নিয়ে হাজির হন তারা বারাসাত চাঁপাডালি মোড়ে ৩৫ নং জাতীয় সড়কের উপর। বারাসাতের চাপাডালি মোড় সংলগ্ন শতদল ময়দান থেকে এই কার্নিভাল শুরু হওয়ার পর, শেষ হয় বারাসাতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে।

প্রসঙ্গত,দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো যে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে, তাকে সম্মান জানিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।সেই মতোই সব জেলার পাশাপাশি এই কার্নিভালের আয়োজন করা হয় বারাসাতেও।সুষ্ঠু ভাবে কার্নিভাল করতে সব রকমের ব্যবস্থা নেই বারাসাতের পূজা কমিটির উদ্যোক্তরা।এদিন কার্নিভাল দেখতে রাস্তার দুধারে দাড়িয়ে হাজির হয়েছিলেন অগণিত মানুষজনেরা।আর আর তাদের উচ্ছাস,উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

 

আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:কার্নিভ্যাল শেষ হলেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করবেন মুখ্যমন্ত্রী!