ফের শিক্ষকদের জন্য সুখবর।কারণ নিয়োগ নিয়ে সুখবর শোনালেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)।প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সোমবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন প্রাথমিকে ৩৯২৯টি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।নিয়োগপক্রিয়া শেষ করে ১১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতকে রিপোর্ট দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে।

সোমবার বিচারপতি বলেন, গত ২০২০ সালের নিয়োগের পরে যেই সমস্ত পদ এখনও শূন্য, সেই সমস্ত পদগুলিতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।তাঁর নির্দেশ, সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ করা হোক। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১১ নভেম্বর।এরপরই বিচারপতির নির্দেশ,পরবর্তী শুনানির দিন জানাতে হবে নতুন কাকে কাকে নিয়োগ করা হয়েছে।এছাড়াও পুজোর আগেই আরও ৬৫ জনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দেন এদিন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।প্রসঙ্গত,এর আগে যথাক্রমে ৭৭, ১১২ জনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। মোট ১৮৯ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৮৫ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ৬ নম্বর অতিরিক্ত দিতে হবে মামলাকারীদের। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। সেই মামলা ফের ফিরে আসে হাইকোর্টে। উল্লেখ্য, এই মামলা এখন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারাধীন।পরে পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সমস্ত পরিক্ষার্থীকে বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়া হবে। ফলে অনুত্তীর্ণ অনেক পরিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হন। চাকরির দাবিতে তাঁরাও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পর্ষদের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল, এত শূন্যপদ নেই। তবে বিচারপতির নির্দেশ, শূন্যপদ তৈরি করে টেট উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে।আদালতের এদিনের এই রায়ে খুশির জোয়ার চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।

 

আরো পড়ুন:Bikash Bhavan:পুজোর আগেই নিয়োগের দাবি!চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রিন্সিপাল সচিব