রাজ্য রাজনীতিতে নকুলদানা চর্চার কারণ হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondol) সুবাদে।বৃহস্পতিবার গরুপাচারকাণ্ডে তাঁর গ্রেফতারির পর নকুলদানাই হয়ে উঠল বিরোধীদের খোঁচা দেওয়ার সরঞ্জাম।বৃহস্পতিবার গরুপাচার মামলায় সিবিআই আটক করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondol)।আর সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরেই কলকাতা বিমানবন্দরে এক অন্য চিত্র দেখা যায়।একেবারে নকুলদানা নিয়ে হাজির হন কংগ্রেস কর্মীরা।

মূলত দিল্লি থেকে ফেরার কথা ছিল কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury)।সেইমতো অধীর বাবুকে স্বাগত জানাতে গিয়ে এদিন নকুলদানা নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে হাজির হন কংগ্রেস কর্মীরা।এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক শেখ নিজামউদ্দিন বলেন,-পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল যেভাবে মানুষের টাকা লুট করেছেন।এবং গরু পাচারের টাকা যেভাবে অনুব্রত লুট করেছেন।তার জন্যই এইভাবে প্রতিবাদ জানান হয়।তাছাড়াও আরো একটি কারণ দেন।

তিনি বলেন,অনুব্রত যেভাবে নকুলদানা এবং বাতাসা খেতে ভালোবাসতেন।আর ধরা যখন পড়েছেন,তাকে তো নকুলদানায় দেওয়া আমাদের কর্তব্য।এছাড়াও তিনি বলেন,-“অনুব্রত বিভিন্ন সময় বিরোধীদের নকুল দানা দিতেন।তাই আজকে চোরদের সর্দারের মধ্যে, একজন সর্দার ধরা পড়তেই নকুলদানা এনেছি।তিনি জেলে গেলেও,জেলে তেও নকুলদানা পাঠাবো”।

এদিন অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন,-“আগেই অ্যারেস্ট হওয়া উচিত ছিল।দেরিতেই হলো।এইটুকু বলতে পারি,যারা দুর্নীতিগ্রস্ত,তারা অ্যারেস্ট হয়েছে।তো অসুবিধার কি আছে?অনেক আগেই হওয়ার ছিল,পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।অবশেষে কোর্টের নির্দেশে,এবং কোর্টে তত্ত্বাবধানে যে তদন্ত হচ্ছে তার কারণে অ্যারেস্ট হয়েছে।”

 

আরো পড়ুন:Anubrata Mondal:’গ্রেফতারই হননি অনুব্রত মণ্ডল,তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছে’দাবি আইনজীবীর!