ফের তৃণমূল (Tmc) কংগ্রেসের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত্‍ করার অভিযোগ উঠল।টেট চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারনার অভিযোগে কাঠগোড়ায় দাঁড়ালো দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বরুণ নন্দী।এলাকাবাসীদের দাবি,এই পুরপিতা নাকি আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ঘনিষ্ঠ।

জানা যায় বুধবার সকালে তৃণমূল (Tmc) কাউন্সিলর বরুণ নন্দীর বিরুদ্ধে টেটে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পোস্টার দেখা যায়।যেখানে লেখা আছে, ”টেটে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত্‍কারী ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা বরুণ নন্দী দূর হাঁটো।”

মূলত, দমদমের শেঠ বাগান ও লালবাগান এলাকায় তাঁর ওয়ার্ড অফিস ও তার আশেপাশে বরুণ বাবুর বিরুদ্ধে এই পোস্টার বুধবার সকালে প্রকাশ্যে আসে।এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।তবে রাতের অন্ধকারে যে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে তা একেবারে স্পষ্ঠ।তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পোস্টারে লেখাগুলি সত্যি। তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরির কথা বলেছেন। তবে কেউ এখনও পর্যন্ত চাকরি পায়নি। তবে একাংশের দাবি, এই পোস্টারের পিছনে দলের সদস্যরাই জড়িত।

ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল (Tmc) কাউন্সিলর বরুণ নন্দী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে সব পোস্টার পড়েছে এলাকায়,সবটাই মিথ্যে। আমি জানি না এই কাজ কে বা কারা করেছে। তবে এটা বলতে পারি দলের কেউ টিকিট পাইনি বলে আমার বিরুদ্ধে কুত্‍সা রটাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সবটাই ভিত্তিহীন।”অন্যদিকে,বিজেপি নেতা বিমল শঙ্কর নন্দ বলেন,”বুঝতে হবে ওদের দলের মধ্যেই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কে কাকে ঠকাচ্ছে, সেটা সামনে আসবে। সবাই সবাইকে সন্দেহ করছে।”এমনিতে পার্থ ইস্যুতে তীব্র অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে শাসকশিবির।এরইমধ্যে দলের দুই বিধায়ককে ইতিমধ্যেই তলব করেছে সিবিআই। তারপর এভাবে কাউন্সিলরদের নামে পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ল আরো দল।

 

আরো পড়ুন:Partha Chatterjee:জেলে কেমন কাটল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তার ঘনিষ্ট বান্ধবীর প্রথম রাত!