ধর্ণায় বসছেন রেশন ডিলারদের (Ration Dealer) সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সোমবার থেকে খাদ্য ভবনের সামনে তারা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা অবধি চলবে এই কর্মসূচী।
রেশন ডিলারদের সংগঠনের অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস ধরে ক্রমশ ধরাশায়ী হয়ে পড়ছে তাদের ব্যবসা।
বিভিন্ন কারণে তারা খরচ সামলাতে পারছেন না। রেশন ডিলার
যে সব দাবি নিয়ে তারা ধর্ণায় বসছে তা হল, দোকানদারকে সঠিক কমিশন দিতে হবে, প্রয়োজনীয় হারে কমিশন নির্ধারণ করতে হবে,
রেশন ডিলারদের (Ration Dealer) মাসিক নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা আয়ের গ্যারান্টি দিতে হবে, প্রশাসনিক স্তর থেকে প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ বন্ধ করতে হবে, মানসিক শান্তি দিতে হবে।
রেশন ডিলারদের দাবি, হ্যান্ডলিং লস, ট্রান্সলিট লস, স্টোরেজ লস নিয়ে দ্রুত রাজ্যকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্লাস্টিক বস্তায় রিপ্যাকেজিং করে চাল, গম দেওয়া যাবে না। খারাপ নমুনার চাল,গম থাকলে তা বদল করতে হবে। ৬৫০০ বা তার বেশী
ইউনিটের দোকান ভেঙে নতুন দোকানের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। রেশন ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবিক অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ১লা ডিসেম্বর
থেকে ৩১ মার্চ ২০২০ অবধি চার মাসের অতিরিক্ত ১৬ টাকা কমিশন বাড়ানোর টাকা এখনও রেশনডিলাররা পাননি।
২০২০ সালের এপ্রিল/মে মাসে দোকানদের নিজের পয়সায় জিনিস কিনে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হয়েছিল।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রেশন ডিলারদের সংগঠন আপত্তি জানিয়ে আসছেন। রাজ্য অবশ্য রেশন ডিলারদের সংগঠনের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।