দীর্ঘ ২৩ বছর পর সরাসরি এবার প্রার্থী হিসেবে মেদিনীপুর পৌরসভা ২০২২ নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য ঘরের ছেলে উপর ভরসা রাখল শাসক দল তৃণমূল (TMC)। ১৯৯৮ সালে কেশপুর আন্দোলনের মোহাম্মদ রফিকের হাত ধরে পার্টিতে প্রবেশ। তারপর ২৫ টারও বেশি রাজনৈতিক কেস, দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের পর মেদিনীপুর শহরে তৃণমূল যুব সংগঠনকে মজবুত করা, ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুব শহর সভাপতি হিসেবে ও পরবর্তীকালে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং তারপর ২০১৮ থেকে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। দীর্ঘ ২৩ বছর রাজনৈতিক জীবনে দেওয়ালে পোস্টারিং থেকে দেওয়ালের চুন করা সব কিছুটাই করতে হয়েছে সৌরভ বসু কে (Sourav Basu)।
১৯৯৮ সালে যখন সিপিএমের রাজত্বকালে সিপিএমের জেলা দপ্তর থেকে ঢিল ছড়া দূরত্ব থেকেও ভয় পায়নি। রাজনীতি জীবনে সংগঠনকে মজবুত করতে রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথমবার পার্টির টিকিটে প্রার্থী হিসেবে সৌরভ বসু। তবে এ বিষয়ে বলা বাহুল্য গৌরী ঘোষের আমল থেকে দক্ষ পার্টি কর্মী হিসেবে সৌরভ বসু ওয়ার্ড কে নিজের হাতে ধরে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয় লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার পরাজয়ের পর এলাকায় বিজেপির দাপট বহুগুণ বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন : Covid-19 : কোভিড টেস্টের নামে হাজার হাজার টাকা লুঠ
কিন্তু মাটি ছাড়তে একবিন্দুও পিছুপা হতে দেখা যায়নি সৌরভ কে। পার্টির প্রতি একনিষ্ঠ মনোভাব এবং অদম্য জেদ সৌরভ বসুকে হার মানাতে পারেনি। দাঁতে দাঁত কামড়ে বিধানসভা ভোটে পার্টির নেতৃত্বে কথা মতো নিজের এলাকাকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের বক্তব্য, সৌরভ সব দিন মানুষের বিপদের সময় রং না দেখে সকলের উপকার করে গেছে। তবে এ বিষয়ে বিরোধীদের মত সৌরভ ছাড়া এই মুহূর্তে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যোগ্য নেতৃত্ব কেউ নেই।
প্রার্থী ঘোষণার অনেক আগেই ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত দেওয়ালের দখল নিয়েছিল সৌরভের টিম। অফিশিয়ালি শুধুমাত্র ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা ছিল। তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ধারণা দীর্ঘ ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে জয় লাভ নয়, মানুষের জন্য কতটা কাজ করতে পারে তার দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল।