সোমবার(Monday) হেনস্থার মুখে পড়তে হল তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর তথা শুভশ্রী গাঙ্গুলির বাবা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

তাঁকে গালিগালাজ ও নিগ্রহের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের নিচুতলার কিছু নেতা-কর্মীদেরই একাংশের বিরুদ্ধে।

Debaprasad Gangopadhyay, father in law of Tmc MLA Raj Chakraborty face problem for Tmc workers in Burdwan on this Monday.
দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলীর সাথে শুভশ্রী গাঙ্গুলী

মঙ্গলবার থেকে খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার আগে রাজ্যজুড়ে সব স্কুল কলেজে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

 

বর্ধমানের একটি স্কুলে স্যানিটাইজিং টানেল বসানো নিয়ে সোমবার(Monday) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

 

বর্ধমানের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটেছে এই ঘটনাটি। এই ঘটনার মধ্যে পড়েই হেনস্থা হতে হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর(Raj Chakraborty) শ্বশুরকে।

 

এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নালিশ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।ঘটনার সূত্রপাত হয় সোমবার(Monday) সকালে।

টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রীর মাসি অনাবাসী ভারতীয় অনিতা গড়কড়ি বর্ধমানের দু’টি স্কুলে স্যানিটাইজিং টানেল বসানোর খরচ বহন করার জন্য দান করেন।

সেই মতো তিনি শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়(Debaprasad Gangopadhyay) বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

দেবপ্রসাদবাবু বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুবরাজদীঘি হাইস্কুল ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

দেবপ্রসাদবাবুর মতে, দুবরাজদীঘি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই সোমবার শ্যালিকা ও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সকালে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু সেখানে স্যানিটাইজিং টানেল বসাতে গেলে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ আলি ও তাঁর ভাইপো তৃণমূলের যুবনেতা নুরুল আলম এসে কাজে বাধা দেন।

এরপর একদলস্থানীয় তৃণমূল কর্মী তাদের উপর চড়াও হয়। এর মাঝেই পড়ে যান দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর শ্যালিকা।

পুলিশের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।