মধুর (Honey) ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। রূপ চর্চার জন্য মধু খ্যাতি যুগ যুগ ধরে। কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন সুন্দর এবং ঘন চুল। আজকে জেনে নিন চুলের মধুর(honey) ব্যবহার।

 

মধু(honey) দিয়ে আপনি হেয়ার প্যাক বানাতে পারবেন।সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনাকে প্রোটিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে। একটি কাঁচা ডিমের সঙ্গে তিন চামচ টক দই, এক চামচ মধু, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে দু ঘন্টার জন্য চুলে লাগিয়ে রেখে দিন। কাঁচা ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন যা চুলকে স্বাস্থ্যকর ও সিল্কি করে তোলে, টকদই যা চুলে পুষ্টিযোগান দেয়। মধুর মধ্যে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট যা চুলকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা চুলের রুক্ষতা দূর করে।

 

চুল যাদের রুক্ষ এবং শুস্ক হয়ে গিয়েছে, তারা কলা এবং মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এর ব্যবহারে চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে আর সেই সঙ্গে চুল হয়ে উঠবে মোলায়ম।

 

সুন্দর এবং সিল্কি চুলের জন্য মধু আর দুধ দারুন কাজ করেন।চুলের এক চামচ মধুর সাথে এক কাপ দুধ মিশিয়ে এই পেস্ট ২-৩ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালো মানের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন সিল্কি , স্টেইট চুলের জন্য। চুলে পুষ্টি ও বাড়বে।প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যবহার করুন। তাহলেই মিলবে জেল্লাদার স্ট্রেইট চুল।

 

শ্যাম্পুতে কেমিক্যাল থাকে। ফলে বারবার ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর বদলে ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি হেয়ার প্যাক। এক কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু(honey) মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

Image source-google