পড়ানোর অছিলায় ১৩ বছরের মেয়েটাকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করতেন গৃহশিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ ছাত্রীর পরিবারের (Jalpaiguri)। খবর ছড়িয়ে পড়তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নিউ জলপাইগুড়ি ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এরপরই শুরু হয় অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ।
সূত্রের খবর অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বিধায়ক চন্দ্র দাস। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষকতার পাশাপাশি বিধায়ক চন্দ্র দাস বাম দলের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত। বিগত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিআইএম প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্যাতিতার বাবা বলেছেন , ‘যারা সমাজ গড়ার কারিগর তারাই যদি এমন ঘটনা ঘটায় তাহলে মানুষ কাকে ভরসা করবে। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আজকে আমার মেয়ের সঙ্গে হয়েছে , আগামীতে অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে যেন এই ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
ছাত্রীর পরিবার থাকে মিলনপল্লীর (Jalpaiguri) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, সেই ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই গৃহশিক্ষক বিধায়কবাবুর তাঁদের মেয়েকে পড়ান। সেই শিক্ষকই যে এমন ঘটনা ঘটাবেন তা ছিল কল্পনারও অতীত। মেয়েটির পরিবারের লোকজনের দাবি, এ বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এমন ঘটনা ঘটছে. ইদানীং মেয়েটি নাকি পড়তে যেতে চাইত না। কারণ জিজ্ঞাসা করলে চুপ থাকত। গত সপ্তাহেও মেয়েটি পড়তে যেতে চাইছিল না। বকাঝকা করলে কেঁদে ফেলে সে সবটা জানায়। কীভাবে দিনের পর দিন তার ওপর যৌন নির্যাতন করে এসেছেন গৃহশিক্ষক। তাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে যাতে কথা বাইরে জানাজানি না হয়। সবটা শুনে মেয়েটির পরিবারের লোকজন শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিধায়কবাবু নাকি সবটা স্বীকার করে নেন। শুধু তাই নয় মুখ বন্ধ রাখার জন্য নাকি টাকাও দিতে চান তিনি।এরপরেই বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।আর তারপরই বাড়ি ছেড়ে পরিবার সমেত পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শিক্ষক।যদিও ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরো পড়ুন:Hanskhali Rape: নির্যাতিতার পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন