1. ঘি এমন একটা জিনিস যেটা ভালোবাসা সবাই। রান্না থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ঘি ব্যবহার করা হয়। আর আজকাল দোকান থেকে যে আমরা যে ঘি কিনে আনি তা বেশিরভাগই ভেজাল। খাঁটি ঘীয়ের ব্যবহার সবেতেই, সবসময়ই। কারণ ভালো মানের, অর্গ্যানিক ঘী-ই হলো নানা রকম পুষ্টিগুণে ঠাসা।তাই এবার দোকান থেকে কিনে নয় বাড়িতেই বানান খাঁটি ঘি(Ghee)। জেনে নিন রেসিপি।

দুধ ফোটানোর পর ৩-৪ ঘণ্টা করে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিন। এই সময় দুধে হাত দেবেন না।দুধের ওপর রোজ যে সর পড়বে, সাবধানে তুলে সেটা এবার একটা বাটিতে জমিয়ে রাখুন। ফ্রিজারে রাখুন, সর টাটকা থাকবে।ক’দিন এভাবে জমালেই বেশ অনেকটা সর জমাট বেঁধে যাবে। বাটিখানেক হলে সেগুলোকে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে ফেলুন। সরের যে মিশ্রণটা তৈরি হলো, এর নাম বাটারমিল্ক। ইচ্ছে হলে এই বাটারমিল্ক আপনি নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘী বানাতে হলে আরও কিছু ধাপের ভিতর দিয়ে যেতে হবে আপনাকে।

 

ঘি (Ghee)বানাতে হলে এবার একটি তলা ভারী পাত্র নিতে হবে আপনাকে। অল্প আঁচে সেটা বসিয়ে সরের মিশ্রণ ঢেলে দিন। জমাট বাঁধা সর এবার ধীরে ধীরে গলতে শুরু করবে। এসময়টা আপনাকে ক্রমাগত নাড়া দিতে হবে পাত্রে!অল্প আঁচে এভাবে নাড়তে থাকলে খানিক পর সোনালি-রঙা তেলতেলে তরল পাত্রের উপর ভেসে উঠবে। এটিই আপনার বহু আকাঙ্ক্ষিত ঘী! রং পাল্টে এরপর বুদবুদ উঠতে থাকবে পাত্রে।

একটু খেয়াল করে নামিয়ে নিন। দেখবেন, যেন পুড়ে না যায়।পরিষ্কার ছাঁকনি ব্যবহার করে এবার তরল ঘি (Ghee)আলাদা করে নিন।বাকি অংশটাও ফেলনা নয়, হালকা মিষ্টি মিলিয়ে অন্য খাবারেও সেটা ব্যবহার করতে পারেন।আলাদা করে রাখা ঘি ঠান্ডা হলে এবার পরিষ্কার একটা কৌটোয় ভরে ফেলুন। বেশ কিছুদিন রেখে রোজের খাবারে মিলিয়ে আপনার বাচ্চাকে খাওয়ান।

Image source -google