রাজ্যের পাশাপাশি এবার জেলাতেও ছাত্র যুব উপর ভরসা করে জেলা সম্পাদক মন্ডলী তৈরি করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিপিএম (CPIM)। আজ রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিমের (Mohammed Salim) উপস্থিতিতে ১৪ জনকে নিয়ে জেলা সম্পাদকমন্ডলী গঠিত হয়। এই সম্পাদকমন্ডলীতে নতুন মুখ হিসেবে উঠে আসে ছাত্রনেতা সৌগত পন্ডা থেকে শুরু করে একসময়কার ছাত্র ছাত্র যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক নেতৃত্ব।
জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের হাত ধরে এই ছাত্র-যুব প্রাক্তন নেতৃত্বরা আগামী দিনে জেলা বামফ্রন্টকে এক নতুন পথ দেখাবে বলে মনে করছেন। তারা প্রসঙ্গত বলা যায়, সব দিনই বিরোধীরা বলে এসেছেন সিপিএমের (CPIM) নেতৃত্বরা তাদের পদ ছাড়তে নারাজ। এর পাশাপাশি বিরোধীদের মুখ থেকে শোনা গেছে যতদিন সাদা চুলের মাথা নেতৃত্ব বেঁচে থাকবেন ততদিন তারা তাদের পদ কে আকড়ে ধরে রাখবেন।
তবে বিরোধীদের এই প্রশ্নকে মানতে একদম নারাজ রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস থেকে এই বছর এক বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। পার্টি কংগ্রেস থেকে প্রথমে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে যেমন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র ঠিক তেমনিভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন শতরূপ, সৃজন, মীনাক্ষী মত কম বয়সী ছাত্র-যুব নেতৃত্বরা।
আর এই ধারাকে অব্যাহত রেখে আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিপিএম ছাত্র যুব আন্দোলনের প্রাক্তন নেতৃত্ব বিজয় পাল, সমর মুখার্জি, সত্যেন মাইতির পাশাপাশি এই নবনিযুক্ত কমিটিতে জায়গা দিলেন যুব আন্দোলনের খুব পরিচিত মুখ তাপস সিনহা থেকে শুরু করে গোপাল প্রামানিক এবং সৌগত পন্ডার মত প্রাক্তন ছাত্র ও যুব নেতৃত্বকে সাদা চুলের মাথা দীপক সরকার এবং তরুণ রায়ের পর লড়াকু নেতা সুশান্ত ঘোষের উপর ভরসা করে প্রথমে জেলার দায়িত্ব দেওয়া। পরবর্তীকালে জেলার সম্পাদকমন্ডলী তে ছাত্র-যুব দের জায়গা দেওয়া কার্যত সিপিএমকে চাঙ্গা করে তুলবে বলে মনে করছেন সিপিএমের একাংশ।
আরও পড়ুন : Tourism: দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের টানতে নতুন পরিকল্পনা করলো রেল কর্তৃপক্ষ