হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে (Hanskhali rape) নির্যাতিতার পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন।
কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে আবেদনপত্র দাখিল করেন মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। দ্রুত শুনানির আরজি জানান তিনি।
আবেদন বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস প্রধান বিচারপতির।
গত ৪ এপ্রিল প্রেমিক তথা তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেল গোয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল কিশোরী।
রাতে পার্টি থেকে অসুস্থ অবস্থায় ফেরে সে। গভীর রাতে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। ভোররাতে প্রাণহানি হয় তার।
সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন চাপ দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ দাহ করে ফেলা হয়। ৯ এপ্রিল পুলিশের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। এই ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
মূল অভিযুক্তের বাবা এবং তার বন্ধুকেও গ্রেপ্তার করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। দু’জনের বিরুদ্ধেই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার হাঁসখালি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় (Hanskhali rape) সিবিআই মুখবন্ধ খামে অসম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিল হাই কোর্টে।
জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে, রিপোর্ট জমা দিতে আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। এই সময় চেয়ে আবেদন জানান সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী।
ওইদিনই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ধর্ষণকাণ্ডে কোনও নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না।
অন্যত্রও উল্লেখ করা যাবে না তাঁর নাম। সেক্ষেত্রে তদন্তে ক্ষতি হতে পারে। কারণ, মামলার অন্যান্য ব্যক্তিরাও জেনে গেলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির এক মহিলা সদস্য সাংবাদিক বৈঠকে হাঁসখালি কাণ্ডের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত।