রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিদেশে পার্টি করার ভিডিও। নাইট ক্লাবের রঙিন আলোয় হঠাত্ই মুখ ভেসে উঠল কংগ্রেস সাংসদের। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি নাইট ক্লাবে বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মঙ্গলবার ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পরে যায় রাজনৈতিক মহলে।
এই ভিডিওকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়েছে বিজেপি।এদিন ট্যুইট করে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তিনি সেই ট্যুইটে বলেন, ‘এটি রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত জীবনের বিষয় নয়। কার সঙ্গে রয়েছেন রাহুল গান্ধী? উনি কি চিনের গুপ্তচরদের সঙ্গে রয়েছেন? রাহুল গান্ধী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে ট্যুইট করেন তাও কি চিনের চাপে? প্রশ্ন তো উঠবেই, কারণ প্রশ্নটা রাহুল গান্ধীর নয়, প্রশ্নটা দেশের।’রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ‘রাহুল গান্ধী একটি নাইটক্লাবে ছিলেন যখন মুম্বইয়ে আক্রমন করা হয়েছিল। তিনি এমন সময়ে একটি নাইটক্লাবে আছেন যখন তাঁর পার্টিই বিস্ফোরিত হচ্ছে। দুই ক্ষেত্রেই তিনি ধ্রুবক।’
এই নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘রাহুল গান্ধী একটি বন্ধুপ্রতীম দেশ নেপালে গিয়েছিলেন তার এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে, যিনি একজন সাংবাদিক।সর্বশেষ আমি চেক করেছি, পরিবার এবং বন্ধুদের থাকা এবং বিবাহের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিষয়। এটা এখনো এ দেশে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়নি। হয়তো আজকের পরে, বিজেপি সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে কোনও বিয়েতে অংশ নেওয়া অবৈধ এবং বন্ধু থাকা একটি অপরাধ।’উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাহুল গান্ধী নেপালে গিয়েছেন তাঁর এক সাংবাদিক বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে। সাংবাদিক সুমনিমা উদাসের বিয়ের আসর বসেছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিখ্যাত পাঁচতারা ম্যারিয়ট হোটেলে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন সোনিয়াপুত্র। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে কাঠমান্ডুর একটি বিখ্যাত নাইট ক্লাবে তাঁকে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। এরপরই রাহুলের ওপর চড়াও হন বিজেপি নেতারা।
আরো পড়ুন:Rahul Gandhi:জাহাঙ্গীরপুরীতে বিজেপির অভিযান নিয়ে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর