হাঁসখালি (Hanshkhali) ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পুলিশকে বলেছি গোটা বিষয়টা জানাতে। শুনেছি, ছেলেটির নাকি মেয়েটির সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। ইজ ইট আ ফ্যাক্ট?’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজমৈতিক মহল। এবার সেই প্রসঙ্গেই প্রতিবাদী সুর ঋদ্ধি সেনের।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা অবশ্য আগেই মমতার এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ফেসবুকে কড়া পোস্ট করেছিলেন। এবার সেই তালিকাতেই নাম দিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।
ঋদ্ধি সেনের মন্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্ত্যব্য অত্যন্ত কদর্য এবং বিপজ্জনক।
ক্রমশ বিকৃত হচ্ছে মানবিকতার চেহারা, এই ভয়ানক মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার জানাই।
শেষ অবধি ক্ষমতা এবং রাজনীতি পিষে মেরে ফেলে সাধারণ মানুষের স্বর। ভোটের সংখ্যা পরিণত হয়ে লাশের সংখ্যায়।
এরা প্রত্যেকে মাঠে নামার আগেই বিক্রয় করেছে নিজেদের চেতনা মেফিস্টোফিলিসের হাতে।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ন্ত হিংসা-হানাহানির ঘটনায় যেন উনি দৃষ্টিপাত করেন।
বগটুই-কাণ্ডের পরই সেই চিঠি লেখা হয়েছিল মমতাকে। এবার হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে মমতার মন্তব্য শুনে হতভম্ব ঋদ্ধি।
সৃজিতও একই কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, ‘হাঁসখালি (Hanshkhali)ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে একেবারে আপত্তিকর, অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি বাকরুদ্ধ ও হতবাক।’
একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এরকম অসংবেদনশীল মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? কমলেশ্বরও পরোক্ষাভাবে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সরকারকে।