পকসো(POCSO) আইনের ব্যাখ্যা নিয়ে বম্বে হাই কোর্ট থেকে পাশ হওয়া একটি বিল পেশ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
কিন্তু বোম্বে হাইকোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
স্পর্শ করা জরুরী নয়, নির্যাতনের উদ্দেশ্য থাকলেই পকসো(POCSO) আইনের আওতায় আসবে সেই মামলা তথা অভিযুক্ত ব্যক্তি, মন্তব্য ভারতের শীর্ষ আদালতের।
সরাসরি ত্বকের স্পর্শ না হলে পকসো আইনের আওতায় অভিযোগ আনা যাবে না এমন মন্তব্য করেছিলেন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি।
এক নাবালিকাকে জামার উপর দিয়ে অশালীনভাবে স্পর্শ করার একটি ঘটনা নিয়ে একটি মামলায়বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ এক ব্যক্তিকে খালাস করে দেয়।
সেখানে বলা হয়েছিল বাচ্চার ত্বকের স্পর্শ না হলে তা পকসো(POCSO) আইনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।
বোম্বে হাইকোর্টের এই রায়কে ঘিরে দেশে সমালচনার ঝড় ওঠে।
মহারাষ্ট্র সরকার এই রায়ের তৎক্ষণাৎ বিরোধিতা করে এবং সুপ্রিম কোর্টে ভারত সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করে।
অ্যাটর্নি জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং মহারাষ্ট্র সরকার একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে বোম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে।
২০২১ এর জানুয়ারির ২৭ তারিখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এই রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ শুনানির পরে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত, জাস্টিস এস রবিন্দ্র ভাট এবং জাস্টিস বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ রায় দিয়েছে ত্বকের স্পর্শের উপরে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিলে চলবে না।
সবথেকে বেশি যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল সেক্সুয়াল ইন্টেন্ট।
অর্থাৎ একজন ব্যক্তি কোথায় স্পর্শ করছেন, কিভাবে স্পর্শ করছেন; এর থেকেও বড় বিষয় হল আসল সেক্সুয়াল ইন্টেন্ট।
অর্থাৎ কী উদ্দেশ্য নিয়ে স্পর্শ করা হচ্ছে। বম্বে হাইকোর্টের সমালোচিত রায় অনুমতি না নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে স্পর্শ করা এই ধরনের যৌন আচরনকে অসংবেদনশীলভাবে আইনসিদ্ধ করে দিচ্ছিল।
এর পাশাপাশি নাগপুর বেঞ্চের এই রায়কে তীব্র অসংবেদনশীল বলেও ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট।
ফলে ডিকশনারি দেখে, আক্ষরিক অনুবাদ করে কখনও বাস্তবে রায় দেওয়া সম্ভব নয় তা বোঝা গেল।