স্কুলে গিয়ে শিশুদের (School Dress) নীল-সাদা পোশাকের মাপ নেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে মামলা।
বিচারাধীন বিষয় হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে স্কুলে শিশুদের শরীরের মাপ নেওয়া শুরু হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অবশ্য স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কোনও কর্তা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসার বলেন, ‘নবান্নর শীর্ষ মহল থেকে যেমন নির্দেশ এসেছে সেই ভাবে কাজ চলছে।’
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষা ও এমএসএমই দপ্তরের সঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠক হয়েছে।
সেখানে সিদ্ধান্ত হয় বৈশাখ মাস থেকে স্কুলের ছাত্র ও ছাত্রীদের নতুন পোশাক দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
ছাত্ররা পরবে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট। ছাত্রীদের পরনে থাকবে সাদা শার্ট এবং নীল টিউনিক ফ্রক।
তৈরি হবে নীল-সাদা সালোয়ার-কামিজও। প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম
শ্রেণীর ছাত্রদের একটি হাফ ও একটি ফুলপ্যান্ট দেওয়া হবে। একটি করে হাফ ও একটি ফুল শার্টও পাবে তারা।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে সাদা শার্ট ও নীল টিউনিক ফ্রক।
তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীরা পাবে সাদা শার্ট ও নীল স্কার্ট(School Dress)। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীদের জন্য থাকবে দুই সেট করে সালোয়ার কামিজ ও দু’টি করে ওড়না।
সবার বুকের কাছে থাকবে বিশ্ব বাংলা লোগো। বাংলা নববর্ষের প্রথম মাস থেকেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যেতে চলেছে এই নীল-সাদা পোশাক।
সমস্ত পোশাকের জোগান দেবে ক্ষুদ্র মাঝারি কুটির ও বস্ত্র শিল্প দপ্তর।