প্রায় তেরো ঘন্টার টানাপোড়েন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে (Health companion card) পরিষেবা না পাওয়াতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হলো এক ব্যাক্তির। মৃতের নাম নির্মল মন্ডল। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা এরপর মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করলো। রবিবার ভোর রাত থেকে দুর্গাপুরের জব্বরপল্লীতে এই রাস্তা অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজট তৈরী হয়।

সূত্রের খবর গতকাল দুপুর বারোটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নির্মল মন্ডল নামে এক ব্যক্তি।তাঁর একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে জব্বরপল্লী বাজারে। গতকাল দুপুরে নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন নির্মল বাবু। তখন এক বেপরোয়া বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা এসে ধাক্কা মারে সাইকেল আরোহীকে। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন তিনি । আর তারপর থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত । তাকে তার পরিবারের লোকেরা প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে কিন্তু সেখান থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। তারপর তাকে নিয়ে আসা হয় অনাময় সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে ফের তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।পরিবারের অভিযোগ একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালে ঘোরা হয়েছে তাকে শুধু ভর্তি করানোর জন্য । কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নাম শুনে কোন বেসরকারি হাসপাতাল গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে পরিষেবা দিতে চাইনি । অবশেষে রবিবার ভোর তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় নির্মল মন্ডলের।

জানা যায় তারপরেই ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দুর্গাপুরের জব্বরপল্লী এলাকার রাস্তার উপরে রেখে বিক্ষোভ দেখায় পরিবারসহ স্থানীয়রা। সেখানে এই মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ এবং ব্যস্ততম রাস্তায় বাম্পারের দাবি জানায় স্থানীয়রা। অবশেষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেখানে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ। এই ঘটনার জেরে বেশ দীর্ঘক্ষন ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

আরো পড়ুন:Candidates:প্রচারে ঝড় তুলতে ময়দানে নামছেন মমতা – অভিষেক