রাজ্য রাজনীতিকে তোলপাড় করে দিয়েছে বগটুই (bugatui) কান্ড। ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় এক সপ্তাহ।
তার মধ্যেই আবার মৃত্যু হয়েছে বগটুই (bugatui) গ্রামে। সেদিন কোনোক্রমে যারা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নাজিমা বিবি।
যার শরীরের ৬৫ শতাংশই ঝলসে গিয়েছিল। কয়েকদিনের অসম লড়াইয়ের পর আজ তাঁর মৃত্যু হল।
তাঁর আশঙ্কাজনক খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বামপন্থী যুবনেতা শতরূপ ঘোষ।
বামপন্থী নেতা শতরূপ ঘোষ জানালেন, রামপুরহাটে যখন মিছিল চলছিল, সেই সময় খবর পেয়েছিলেন বগটুই
হত্যাকাণ্ডে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাজিমা বিবির অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।
এক চিকিত্সক বলেছিলেন, তাঁকে বাঁচানো সম্ভব নয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।
শতরূপ ঘোষ জানালেন, প্রথমে পুলিশ চেষ্টা করেছিল যাতে তাঁরা চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন।
কিন্তু তাঁরা অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতে দিতে বাধ্য হন। তিনি জানালেন, তারা যখন হাসপাতালে ছিলেন, সেসময় সিবিআইয়ের
গোয়েন্দারা তদন্তের কাছে সেখানে এসেছিলেন। আর পুলিশের উপস্থিতিতেই দুজন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের
গতিবিধি, খবর তাদের কাজকর্মের খবর সমস্ত কিছু পৌঁছে দিচ্ছিল ফোনের ওপারের কোন এক দাদাকে।
অন্যদিকে, আজ নাজিমা বিবির মৃত্যুর পর তাঁর স্বামী শেখলাল শেখ
জানালেন, স্ত্রীর মৃতদেহ যেন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। যাতে অন্তত রীতি মেনে তাঁরা কবর দিতে পারেন।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বললেন, লাস যেন গায়েব করে না দেওয়া হয়। লাশ যেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
যাতে তাঁরা দফন করতে পারেন। তিনি জানালেন, তিনি তাঁর নিজের মা,
ভাই, বোন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাউকেই মাটি দিতে পারেননি। আর বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই। চলে যেতে পারলেই ভালো হতো।