বীরভূম নিয়ে তুঙ্গে রাজনীতি। কংগ্রেস সাংসদ (Adhir Choudhury) অধীর রঞ্জন চৌধুরী যাচ্ছিলেন, কিন্তু বোলেপুরে তাকে আটকে দেওয়া হয়।
প্রতিবাদে সেখানেই ধর্নায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এমনকি পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে অধীর রঞ্জনের (Adhir Choudhury) সংঘর্ষও হয়।
আজই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই অধীর রঞ্জনের পরে বীরভূম সফর করা উচিত্।
নেতাজি ইনডোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যে সেখানে জড়ো হওয়ায় তাকে একদিনের জন্য জেলা সফর স্থগিত করতে হয়েছে।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বুধবার বলেন যে, আজ তারা (বিজেপি) ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যাচ্ছেন, তাই আমি যাব না।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে এক ডজন বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় দুই শিশু সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখের খুনের কয়েক ঘন্টা পর ঘটনাটি ঘটেছে।
বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস-সমর্থিত “গুণ্ডা”কে এই সহিংসতার জন্য দায়ী করেছে।
এই ঘটনার পর রাজ্যে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করে। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল।
বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সিবিআই ও এনআইএ-র তদন্ত হওয়া উচিত্।
রাষ্ট্রপতি শাসনই একমাত্র সমাধান, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত্। মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারকে বাঁচাচ্ছেন।”