প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠক করলেন জাপানের (Japan) প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
উভয় নেতাই ভারত এবং জাপানের আর্থিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
এই ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, শান্তি সমৃদ্ধি এবং উন্নতির লক্ষ্যে ভারত এবং জাপানের অংশীদারিত্ব একধাপ এগোল।
শনিবারই ভারতে পৌঁছন জাপানের (Japan) প্রধানমন্ত্রী। এটাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে তাঁর প্রথম সফর। রবিবার সকালেই দিল্লি ছাড়বেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
আগামী পাঁচ বছরে জাপানের থেকে পাঁচ লক্ষ কোটি ইয়েন পেতে চায় ভারত। এই অর্থে দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলবে। পাশাপাশি, দেশের উত্তর-পূর্বের উন্নয়নেও এই অর্থ কাজে লাগানো হবে।
জাপানের সঙ্গে ভারতের কার্বন নিঃসরণ কমানো নিয়েও চুক্তি হচ্ছে। কিশিদা নিজে হিরোশিমার জনপ্রতিনিধি।
সেই কারণেই বিশ্বজুড়ে দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে তিনি জাপানের প্রথমসারির মুখ হিসেবে নিজেকে বরাবরই তুলে ধরেছেন।
পাশাপাশি, ভারতে বিনিয়োগ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে ভারতে ১,৪৫৫টি জাপানের কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে।
জাপানের সহায়তায় এদেশে ১১টি শহর গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে দুটি শহরে জাপানের সংস্থা সবচেয়ে বেশিসংখ্যায় আছে। সেগুলো হল রাজস্থানের নিমরানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী সিটি।
জাপানের সাহায্যে মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইস্পিড রেল তৈরি হচ্ছে। পণ্যবাহী করিডর তৈরি হচ্ছে। ভারতে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রের উন্নতিতেও জাপান বিনিয়োগ করেছে।
পাশাপাশি, ভারতীয় শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও বিনিয়োগ করছে জাপান সরকার। নার্সিং ক্ষেত্রের উন্নতিতে বিনিয়োগ করতেও রাজি হয়েছে টোকিও।