একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বাংলায় বিজেপির(BJP) পতন শুরু হয়েছে। বাংলা নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি আদতে বাংলার মানুষ তা বাস্তবে ফলতে দেয়নি।
ফলে মোহভঙ্গ হয়ে এখন গেরুয়া শিবির ছাড়তে শুরু করেছেন সাংসদ–বিধায়ক থেকে নেতা, কর্মীরা। বাকি চার রাজ্যের মধ্যে অসমে জিতলেও কেরল, তামিলনাড়ু এবং পদুচেরীতে বিরাট কোনও সাফল্য আসেনি।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সে তথ্য নিজেরাই দেখতে পেয়েছেন বিজেপি(BJP) কর্তারা।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচনেও বাংলা জুড়ে সেই ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত থেকেছে বিজেপির।
আর এখন সবচেয়ে বড় দেখার বিষয় হল পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে বিজেপি(BJP) সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছিল।
যা নিয়ে এখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এবং মোদী–শাহ–নড্ডাকেও।কত টাকা খরচ করা হয়েছিল?
সূত্রের খবর, একুশে বাংলার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন(Election) হয়েছিল অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতেও।
এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির মোট ২৫২ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
যা দিয়ে দেশের অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা সম্ভব হত।
শুধু তাই নয়, এই অর্থের ৬০ শতাংশই খরচ করা হয়েছিল বাংলা দখলের জন্য।
দেশে এখন সবথেকে বিত্তশালী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হওয়ায় তাদের পক্ষে এই খরচ অসম্ভব কিছু না।
আর এই খরচের মূল লক্ষ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের মসনদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Bandyopadhyay) নামানো।
নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি খরচ করেছে ২৫২ কোটি ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৫৩ টাকা। এর মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতেই বিজেপি খরচ করেছিল প্রায় ১৫১ কোটি টাকা।
বাকি চারটি রাজ্য মিলিয়ে মিলিত খরচ হয়েছিল ১০১ কোটি। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করেও বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের জায়গা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল।