বাঙালি মানেই তাদের খাবারের মেনুতে মাছ, মাংস আর ডিমের কোনো না কোনো কিছু থাকতেই হবে।

এর মধ্যে যেকোনো একটা না থাকলে যেনো তাদের খাওয়াটাই সম্পূর্ণ হয়না।

তাই স্বাদ বদলাতে বাড়িতে বানিয়ে নিন চিংড়ির পুর দেওয়া বেগুন ভাজা।

চলুন তাহলে দেখে নিই কিভাবে তৈরি করবেন এই রেসিপি (recipe)।

উপকরণ:

১টি বড় বেগুন

৪-৫টি বাগদা চিংড়ি, খোসা ছাড়ানো

৪টি কাঁচালঙ্কা

৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি

৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

১ চা-চামচ জিরে

১ চা-চামচ হলুদ

১ চা-চামচ লঙ্কাগুঁড়ো

১টি ডিম

স্বাদমতো নুন

ভাজার জন্য সর্ষের তেল

প্রণালী:

বেগুন গোল চাকতির মতো ভাজলে যে ভাবে কাটেন সেই ভাবেই কেটে নিন। দেখবেন, সেগুলি যেন প্রস্থে বেশি থাকে। এ বার বেগুনের এক একটি চাকতির মাঝের দানা থাকা অংশটি ছুরি দিয়ে গোল করে কেটে বার করে নিন। এই ভাবে কেটে নেওয়ার পরে বেগুনের টুকরোগুলোকে দেখতে লাগবে মোটা চুড়ির মতো। আপাতত এগুলিকে হলুদ মাখিয়ে সরিয়ে রাখুন। ভাজার আগে নুন মাখাতে হবে।

এ বার কেটে বার করে নেওয়া বেগুনের মাঝের দানাওয়ালা অংশগুলিকে ছুরি দিয়ে ছোট ছোট টুকরো কেটে নিন।

শিলে বা হামানদিস্তায় খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে নেওয়া চিংড়ি মাছ, নুন, কাঁচালঙ্কা দিয়ে থেঁতো করে নিন। তার পরে তার মধ্যে কুচিয়ে নেওয়া বেগুন দিয়ে আবার থেঁতো করুন। একটি পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে তার মধ্যে মিশিয়ে নিন গুঁড়ো হলুদ, গুঁড়ো লঙ্কা, জিরে, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি এবং একটি কাঁচা ডিম। ভাল ভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি চিংড়ির পুর।

বেগুনের চাকতিগুলিকে নুন মাখিয়ে একটি প্যানে তেল দিয়ে আঁচে বসান। তেলের মধ্যে বেগুনের চাকতি বসিয়ে তার ভিতর চামচে করে চিংড়ির পুর ভরে দিন। ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজতে দিন। এক পিঠ ভাজা হয়ে গেলে উল্টে নিয়ে একই ভাবে আবার ভাজুন। দু’পিঠ ভাল ভাবে ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিন।

গরম ভাত আর ডালের সঙ্গে পরিবেশন করুন। এই খাবারটি শুধু সাদা ভাতের সঙ্গেও খেতে ভাল লাগবে।

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের ডাক অভিষেকের

Image source-Google

By Torsha

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *