নিউজ পোল ব্যুরো: আট দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা টয়ট্রেনের (Toy Train) কার্শিয়াং লোকো শেড অবশেষে পুনরায় চালু হলো। গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই লোকো শেডের পুনরায় উদ্বোধন করেন উত্তর সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। এতদিন টয় ট্রেনের বিকল ইঞ্জিন এবং কামরা মেরামতের জন্য একে তিনধারিয়া অথবা কাটিহারে পাঠানো হত, যার কারণে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক সময় লাগত। কিন্তু এখন থেকে এই কাজগুলি কার্শিয়াংয়ে নিজেই করা যাবে, যা পরিষেবাকে দ্রুত এবং কার্যকর করবে।
ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, “৮১ বছর পর এই লোকো শেডটি আবার চালু করা হলো। এতদিন এটি বন্ধ থাকায় টয় ট্রেন (Toy Train) পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। কিন্তু এবার কার্শিয়াংয়ে এই শেডটি চালু হওয়ায় সব সমস্যার সমাধান হবে।” শুধু লোকো শেডের পুনঃসূচনা নয়, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ৩৬০ ডিগ্রি রেল লাইনের বাঁকগুলোও পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে, জরুরি পরিস্থিতিতে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরানোর কাজটি সহজ হবে এবং রেল চলাচল আরও মসৃণ হবে।
রেল সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে কার্শিয়াং লোকো শেডে টয় ট্রেনের (Toy Train) কামরা তৈরির কাজও শুরু হবে। এই পদক্ষেপে কার্শিয়াং বাসীও অনেক খুশি। তারা আনন্দিত এবং আবেগপ্রবণ হয়ে বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এই লোকো শেডের পুনঃসূচনা তাদের বহু দিনের দাবির ফলস্বরূপ। তাদের মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কার্শিয়াং তার পুরনো ঐতিহ্য এবং গৌরব ফিরে পাবে, যা ব্রিটিশ আমল থেকেই ছিল।
এটি শুধু স্থানীয়দের জন্য একটি বড় ধরনের সাফল্য নয়, বরং পর্যটনশিল্পের জন্যও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। টয় ট্রেনের পরিষেবা পুনরায় শুরু হওয়ায় কার্শিয়াংয়ের পর্যটন আকর্ষণ আরও বাড়বে এবং বহু বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা পর্যটকরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে আরও সুবিধাজনকভাবে।
আরও পড়ুন:Yogi Adityanath:”বিদেশি অনুদান”!সোরসের সঙ্গে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়াকে জুড়ে আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের