বাঙালি মানেই তাদের খাবারের মেনুতে মাছ, মাংস আর ডিমের কোনো না কোনো কিছু থাকতেই হবে। এর মধ্যে যেকোনো একটা না থাকলে যেনো তাদের খাওয়াটাই সম্পূর্ণ হয়না। কিন্তু প্রতিদিন বাড়িতে আমিষ রান্না হয়না। তাই এরম দিনে বাড়িতে বানিয়ে নিন এই মুখোরোচক রান্না যা আপনার স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখবে এবং রসনাতৃপ্তিও ঘটাবে।
এটি এমন একটি রেসিপি (Recipe) যা সহজে বানানো সম্ভব এবং একইসাথে মুখোরোচক।
চলুন তাহলে দেখে নিই কিভাবে তৈরি করবেন এই রেসিপি (recipe)।
উপকরণ
৩টি মাঝারি মাপের ক্যাপসিকাম
২ টেবিল চামচ টক দই
১ টেবিল চামচ সাদা তেল
১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন
৩টি কাঁচালঙ্কা
২ গাঁট মাপের আদার টুকরো
১ চা-চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ চা-চামচ জিরেগুঁড়ো
১/২ চা-চামচ ধনেগুঁড়ো
২ টেবিল চামচ চিনে বাদামের গুঁড়ো
স্বাদমতো নুন
সামান্য চিনি
১/২ চা-চামচ গরমমশলা গুঁড়ো
১/২ চা-চামচ কসুরি মেথি
প্রণালী
ক্যাপসিকাম লম্বাটে টুকরোয় কেটে নিতে হবে। এক একটি টুকরো হবে অন্তত আঙুলের দু’গাট দৈর্ঘ্যের। আদা এবং লঙ্কাও থেঁতো করে নিতে হবে।
এ বার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন, থেঁতো করা আদা-লঙ্কা এবং কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে খানিক ক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন ক্যাপসিকামের টুকরো। ভাল করে ভাজতে থাকুন কিন্তু নুন দেবেন না। নুন দিল ক্যাপসিকাম নরম হয়ে যাবে, খেতে ভাল লাগবে না।
ক্যাপসিকাম ভাজা ভাজা হলে তাতে দিন জিরে এবং ধনেগুঁড়ো। আরও খানিক ক্ষণ ভেজে বাদামের গুঁড়ো, নুন দিয়ে ক্যাপসিকামগুলোকে মাখিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেলে দিন দই। দই দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুন্তি চালিয়ে দই, ক্যাপসিকাম আর মশলা ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে দিন চিনি।
বেশ খানিক ক্ষণ রান্না হতে দিয়ে আবার তেল ছাড়লে উপরে ছড়িয়ে দিন গরমমশলা এবং কসুরি মেথি। আঁচ বন্ধ করে চাপা দিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। তার পরে রুটি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: A. R. Rahman: রমজানের উপবাস করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এ আর রহমান
Image source-Google