ফের মহাকুম্ভের পথে বিপর্যয়।নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮।পদপিষ্ট হয়ে ১০ মহিলা, ৩ শিশু-সহ ১৮ জনের মৃত্যু।এই ঘটনার খবর পেয়েই শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবার দুপুরে তিনি এই ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেন এবং নাগরিক সুরক্ষায় সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে একটি বার্তা পোস্ট করে লিখেছেন,”দিল্লিতে ১৮ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর হৃদয়বিদারক। এই ঘটনা আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিল, নাগরিকদের সুরক্ষার প্রশ্নে সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা কতটা জরুরি। যাঁরা মহাকুম্ভে যাচ্ছেন, তাঁদের আরও উন্নত পরিষেবা পাওয়া উচিত। এই ধরনের যাত্রা যাতে নিরাপদে এবং সুসংহত ভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

পাশাপাশি এদিন কুণাল ঘোষ আরো বলেন,-“নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে, যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয়, প্রতিবাদযোগ্য।কুম্ভে ওখানে পদপিষ্টে মৃত্যু মিছিল,কুম্ভে যাওয়ার পথে,দিল্লির রেলওয়ে স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু মিছিল,এরা চাইছেটা কী! রেলওয়ে যাত্রী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। একের পর এক রেল দুর্ঘটনা। সংরক্ষিত কামরায় বহিরাগতরা ঢুকে অরাজকতা করছে। এবার আবার এই ধরণের চূড়ান্ত অব্যবস্থা।এই রেলমন্ত্রী শুধু পাবলিসিটি হাঙ্গার রেইল মিনিস্টার!কোথায় গিয়ে দুর্ঘটনা,পাশে বসে থেকে ছবি তুলবেন,আর কতরকম দুর্ঘটনা, কতগুলি প্রাণ গেলে মনে হবে, ওই চেয়ারটায় বসে থাকার নৈতিক অধিকার তাঁর নেই।”

অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি,-“পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে প্রথমে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিল রেল। ঘটনা ধামাচাপা দিতে রেলের নির্লজ্জ প্রচেষ্টা। আরও মোদির পার্ট টাইম রেলমন্ত্রীর হাত রক্তাক্ত হল। ভারতীয় রেলে দুর্ঘটনার জেরে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতীয় রেলের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। তারপরও রেলের নিরাপত্তায় জোর না দিয়ে রিল বানাতে ব্যস্ত রেলমন্ত্রী। কোনও দায়িত্ববোধ থাকলে, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন অশ্বিনী বৈষ্ণব।”প্রসঙ্গত, কুম্ভ যাওয়ার উদ্দেশে শনিবার রাতে শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হন নয়াদিল্লি স্টেশনে। আসলে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন হয় সরাসরি কুম্ভে যাওয়ার কথা, নয়তো কুম্ভ হয়ে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার কথা। সেই ট্রেনগুলির আশায় দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।স্থানীয় সূত্রের দাবি,স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেনে প্রয়াগরাজ যাবেন বলে বহু মানুষ ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন।কিন্তু দুটি ট্রেনের কোনওটিই সময়মতো পৌছয়নি।এর মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ট্রেনদুটি বাতিল হয়েছে।এর মধ্যে কুম্ভের জন্য স্পেশাল ট্রেন প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ঢুকে পড়ে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস আসতে দেখে ওই ট্রেনের যাত্রীরা তো বটেই বাকি দুটি ট্রেনের যাত্রীরাও হু হু করে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে ছুটতে থাকেন।সকলে একসঙ্গে ওই ট্রেনটিতে ওঠার চেষ্টা করলে অনেকে পড়ে যান।পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *