রথ মানেই পুরী,রথের রশি ছুঁলেই কাটে সব দুর্ভোগ! কিন্তু জানেন কি পুরীর রথের বিশেষত্ব?কিভাবে তৈরি হয় পুরীর এই রথ?

সামনেই রথ যাত্রা। আর রথযাত্রা বললেই সবার আগে মনে আসে ওড়িশা রাজ্যের পুরীর কথা। এখানের রথযাত্রা বিশ্ব বিখ্যাত।

পুরীতে রথের প্রস্তুতি শুরু হয় পাঁচ মাস আগে থেকে। রথটি দেখতে হয় মন্দিরের মতো। রথ নির্মাণের ঐতিহ্য অনুসারে, ‘নান্দীঘোষ’ রথ ৩৩ হাত উঁচু হয়। এই রথটি তৈরি করতে ১৬ টি চাকা এবং ৮৩২টি কাঠের টুকরা ব্যবহার করা হয়েছে।

দেবী সুভদ্রার রথটি ৩১ হাত উঁচু হয়। এতে ১২টি চাকা থাকে এবং ৫৯৩টি কাঠের টুকরো দিয়ে রথটি ব্যবহার করা হয়েছে। ভগবান বলরামের রথটি ৩২ হাত ১০ আঙ্গুল সমান উঁচু হয়। এই রথটি তৈরিতে ১৪ টি চাকা এবং ৭৬৩টি কাঠ ব্যবহার করা হয়।

তিনটি রথে ১১২০ মিটার কাপড়ে ঢাকা হয়। ভগবান জগন্নাথের রথের ছাদে লাল ও হলুদ কাপড় ব্যবহার করা হয়। একইভাবে ভগবান বলরামের রথে লাল ও সবুজ কাপড় ব্যবহার করা হয় এবং দেবী সুভদ্রার রথে লাল ও কালো কাপড় ব্যবহার করা হয়।

পাঁচ মাস আগে থেকে রথের প্রস্তুতি শুরু হলেও,শিল্পীরা ৫৮ দিন ধরে এই রথগুলি তৈরি করেন। এছাড়াও চাকা ও রথ তৈরির সময় খুবই অল্প লোহার পেরেক ব্যবহার করে থাকেন শিল্পীরা।
শোনা যায় রথের রশিতে টান দেওয়ার জন্য কোনও জাতপাতের বাধন থাকে না। তাই রথ উপলক্ষে যে ভক্তিপ্লাবনে ভাসে পুরীধাম, তার তুলনা মেলা ভার।

 

 

আরো দেখুন:Suryakumar Yadav: মাথা ঠাণ্ডা রাখার শিক্ষা পেয়েছেন স্ত্রীর থেকে, জানালেন সূর্য