শেষ হচ্ছে দাদাগিরি। তাই আবারও সেই জায়গায় আসছে সারেগামাপা। সেই অডিশনের অন্যতম বিচারক হলেন সারেগামাপার প্রাক্তন গায়ক গৌরব সরকার (Gourab Sarkar)। তার বিরুদ্ধেই এক গুরুতর অভিযোগ আনলেন এক প্রতিযোগী যার নাম বিরাজ কৃষ্ণ সাহা।
বিরাজ কৃষ্ণ তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমি গতকাল কলকাতায় অডিশনে গিয়েছিলাম। নীল রঙের বৃত্ত করা এই ভদ্রলোক বিচারকের আসনে ছিলেন । তাতে আমি ওনার যে আচরণ দেখলাম , তা একজন সাধারণ ভদ্র-সভ্য মানুষের গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না। সময়ের কথা মাথায় রেখে আমি গানটির আলাপ গাইনি , শুধু মুখরার কুড়ি পঁচিশ সেকেন্ড গাওয়ার পরই আমাকে থামিয়ে দেওয়া হল। আমি গাইবার সময়ে উনি এতটাই উদাসীন ছিলেন যে , গানটি মনযোগ সহকারে শোনার পরিবর্তে ওখানে বসে থাকা আর একজনের সঙ্গে হাসাহাসি করছিলেন যা, মনে হল কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক।’ তিনি একই সঙ্গে লেখেন, ‘আমার লাইনে আমার আগেও পনের কুড়ি জন অডিশন দিলেন, তাদের ক্ষেত্রেও লাইনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করলাম খুব বেশি হলে এক মিনিটের মধ্যে বেড়িয়ে চলে আসছেন । এটা কি করে সম্ভব? মেনে নিচ্ছি আমি খুব খুব খারাপ গেয়েছি , কিন্তু আমার আগে যারা ছিলেন, তাদের সবাই কি খারাপ গেয়েছিলেন? যাতে করে এক মিনিটের মধ্যেই সবার অডিশন নেওয়া হয়ে যাচ্ছিল! যাই হোক , কলকাতা অডিশনের এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য বড়ই তিক্ত ও বেদনাদায়ক।’
এদিন এমন অভিযোগ ওঠার পর গৌরব (Gourab Sarkar) একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘নমস্কার! আমি গৌরব সরকার বলছি, প্রথমত এই কার্ড আমার দেওয়া নয়, কারণ আমি প্রত্যেকটি কার্ড সই সহকারে দিয়েছি আর আমার সাথে যিনি কার্ডে অংশগ্রহণকারীদের নাম লিখছিলেন এটা তার হাতের লেখাই নয়। আমি ঢাকুরিয়া রায় পাড়াতে থাকি ১এ বেচু ডক্টর লেনে বিনায়ক আবাসনে, আপনাদের যাদের মনে হয় আপনাদের গান ভালো হওয়া সত্বেও আপনাদের নেওয়া হয়নি আপনারা আমার বাড়ি এসে লাইভ ভিডিও করে অডিশন দিয়ে সবাইকে দেখান, এতটা অধিকার দিয়ে রাখলাম আপনাদের প্রত্যেককে, এতটাই আমি আত্মবিশ্বাসী নিজের সিলেকশন নিয়ে। আমাকে ভুল প্রমাণিত করলে আমি সঙ্গীত ছেড়ে দেব চিরকালের মতো। আমি গান বাজনার বিষয়ে এতটাই সৎ যে নিজে কোনদিনও এক ফোঁটা সুবিধা কারো কাছে চাইনি আর কাউকে সুবিধা পাইয়েও দিইনা।’
এই ঘটনার পর ওই পোস্টে এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আজকাল বুঝি আপনার বাড়িতে অডিশন হচ্ছে?’ কেউ আবার লেখেন, ‘আপনি তো নিজেই প্রতিষ্ঠিত নন। আপনি আবার অন্য কারও গান কী করে বিচার করবেন?’ তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, ‘আপনার থেকে ভালো যদি কোনও গাইয়ে আসে তাহলে কী করে বিচার করবেন?’
যদিও কেউ কেউ আবার গৌরবকেও সমর্থন করেছেন। বলেছেন এসব নেতিবাচক কথা উপেক্ষা করতে। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘কাছ থেকে দেখেছি বলেই বলছি ভাই, তুমি মানুষটা সঙ্গীতের ব্যাপারে সত্যিই সৎ, পরিশ্রমী আর নিরহংকারী মানুষ । সারেগামাপাতে গাওয়ার অনেক আগে থেকেই তুমি তোমার প্রতিভার পরিচয় রেখেছিলে সঙ্গীত জগতে, আর সম্পূর্ণ নিজ চেষ্টায় তুমি নিজেকে গড়ে তুলেছ।’
আরও পড়ুন: Recipe: স্বাদ বদলাতে বাড়িতে বানিয়ে নিন বাঁধাকপির ভর্তা
Image source-Google