অল্প বয়সেই কাজ শুরু করেন খেলনা বাড়ি ধারাবাহিকের মিতুল। ছোট থেকেই নাকি অভিনেত্রী হওয়ার শখ ছিল তার মধ্যে। তবে আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নেননি তিনি। অভিনেত্রী জানান, তাঁর প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন, সঙ্গে দাদু গৌরাঙ্গ প্রসাদ মাইতি থিয়েটার করতেন। তাঁর নিজেরও একটা নাটকের দল ছিল, নাম ‘নবোদয় সঙ্ঘ’। তাঁর বাবা, জ্যেঠুও সেখানে ক্লাস করতেন।
আরাত্রিকার (Aratikta Maity) কথায়, ‘আমি যে আলাদা করে কোনও প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তা নয়, তবে ঝাড়গ্রামের স্কুলের অনুষ্ঠানে নাটক করতাম, নাচ করতাম। পাড়ার অনুষ্ঠানে অংশ নিতাম। নাটক ও নাচ, দুটোই আমি ছোট থেকে করি। সেভাবেই এগিয়ে যাওয়া। তারপর বাকিটা পুরোটাই মায়ের চেষ্টা বলা যেতে পারে।’
তবে এমনও হয়েছে বহু জায়গায় অডিশন দিতে গিয়ে তাকে ফেরৎ চলে আসতে হয়েছে। কখনো আবার তাকে অডিশন দিতে দেওয়াই হয়নি। ‘আমি প্রচুর অডিশন দিয়েছি, বাদও পড়েছি। পার্শ্বচরিত্র থেকেই বাদ পড়েছি কত। কোনও জায়গায় বলেছে একটু স্বাস্থ্যবান অভিনেত্রী চাই। কেউ বলেছেন বড় বাচ্চা বাচ্চা দেখতে। আবার কখনও অডিশন দেওয়ার আগেই বাদ পড়েছি। চেনা মুখ না হলে যা হয় আর কী’।
বর্তমানে যোগমায়া কলেজের সাইকোলজি নিয়ে পড়ছেন অভিনেত্রী। পড়াশোনা আর কাজ কিভাবে সামলাচ্ছেন তিনি? আরাত্রিকার (Aratikta Maity) কথায়, ‘ভীষণই কঠিন। প্রথমে মনে হয়েছিল অসুবিধা হবে না করে নেব। তবে ১৪ ঘণ্টা কাজ করে ফেরার পর আর এনার্জি থাকে না। তাই ছুটির দিনেই পড়াশোনা করি। তবে বেশিরভাগ সময়ই শুনে মনে রাখি, রেকর্ডিং শুনি। বাবা পড়ে শোনান, সেটা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি। এছাড়া স্টুডিওতে বই নিয়ে যাই ফাঁকা সময় পড়ি।’
আরও পড়ুন: Fulki: ফুলকির নতুন প্রোমো ঘিরে বিতর্ক, কি এমন আছে সেই প্রোমোতে?
Image source-Google