অসময়ের বৃষ্টিতে মুখ থুবড়ে পড়ল আলু চাষ!মাথায় হাত হুগলি (Hooghly) জেলার গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের দীঘরা গ্রামের আলু চাষীদের (Potato farmers)।ঋণ পরিষদ করতে না পারলে, আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন এই গ্রামের কৃষকরা।
রাজ্য জুড়ে নিম্ন চাপের ফলে বর্তমানে আলু চাষীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন।তবে এবার হুগলি জেলায় দেখা গেলো এক করুন চিত্র।
হুগলি জেলার গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের দীঘরা গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবারের বসবাস।অধিকাংশ মানুষ এই গ্রামে চাষবাস করে সংসার চালায়।এদিকে চৈত্র মাস শুরু হতেই আকাশ জুড়ে শুরু হয়েছে মেঘের ঘনঘাটা।যারফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন আলু চাষীরা।
চাষীদের বক্তব্য,— এই চাষবাস করেই চলে তাদের সংসার।সমবায় সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এই চাষ করে তারা।এদিকে তিনদিনের নিম্নচাপের জেরে জলের তলায় আলু চলে যাওয়ার ফলে, প্রচুর আলু নষ্ট হয়েছে।
তাদের কথায়,- নিম্নচাপের আগে আলুর দাম ছিল সাড়ে ৭০০ টাকা।যা বর্তমানে প্রায় ৬০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।এখন কিভাবে শোধ করবে এই ঋণ?সেই নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে আলু চাষীদের।এমনকি ঋণ পরিষদ করতে না পারলে, আত্মহত্যা করতে বলেও জানিয়েছেন তারা।তবে শুধু দীঘরা গ্রাম নয়,বালি অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র গ্রামে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে।
এদিকে এই প্রসঙ্গে বালি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রঘুনাথ সাঁতরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে পুরোপুরি সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।এবং তিনি এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে জানিয়েছেন।
এখন ঋণগ্রস্থ চাষীদের পাশে এসে সরকার দাঁড়ায় কি না?সরকার এই বিষয়ে পুরোপুরি সহযোগিতা করে কিনা?এবং কতটা সাহায্য করে?এখন সেটাই দেখার!