মোবাইল নয়, মাঠ হয়ে উঠুক সঙ্গী। বর্তমান প্রজন্মকে মাঠমুখী করে তোলার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করল শুলংগরি খেলার মাঠ জনকল্যাণ সমিতি।ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষের ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখতে উপচে পড়ল সাধারণ মানুষের ঢল।
প্রসঙ্গত,১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু হয় শুলংগরি খেলার মাঠ জনকল্যাণ সমিতির।এরপরই খেলাধুলার প্রতি সকলের আগ্রহ বাড়াতে প্রতিনিয়ত এই মাঠে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়।আর প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও শনিবার অর্থাৎ ১৬ ই মার্চ ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শুলংগরি খেলার মাঠ জনকল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
যেই খেলার উদ্বোধন করেন এদিন জাতীয় প্রাক্তন খেলোয়াড় বিভাস ঘোষ,সুখেন সেনগুপ্ত।এছাড়াও এদিনের এই প্রতিযোগিতায় হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,-ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ষষ্ঠী দুলে, রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি, জ্যাংড়া হাতিয়াড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান রিতা গাইন,রাজারহাট নিউটাউনের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য আফতাব উদ্দিন,ক্লাবের সভাপতি বিনয় মণ্ডল,সহ সভাপতি আলোক নস্কর,সম্পাদক দীপঙ্কর নস্কর,সহ সম্পাদক যাদব খেলো,রাকেশ সাউ,শুভ ভান্ডারী,সুফল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
তবে এদিন শুধু ছেলেরা নয়,এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন মেয়েরাও।আসলে বাংলার মেয়েরা বাংলার পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে যাতে খেলায় এগিয়ে আসে, সেই বার্তায় ছড়িয়ে দিতে চেয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন এদিন এই শুলংগরি খেলার মাঠ জনকল্যাণ সমিতির সদস্যরা।একইসঙ্গে এই ফুটবল প্রতিযোগিতাকে আরো আলোকিত করে তুলতে নৃত্যের আয়োজন করা হয়।
সূত্র মারফত আরো জানা গিয়েছে,- সারাবছরই নানান সমাজ সেবামূলক কাজে যুক্ত থাকে এই ক্লাবের সদস্যরা।আর তাই রক্তের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে,এই প্রতিযোগিতার পরের দিনই অর্থাৎ ১৭ ই মার্চ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে এই ক্লাবের সদস্যরা।
ক্লাবের সদস্যদের এমন মহান উদ্যোগে এদিন খুশি হন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি।তিনি ক্লাবের সদস্যদের ভুয়সী প্রশংসা করেন।