গরুর বাঁট থেকে পড়ত দুধ, মাটি খুঁড়তেই উঠে এসেছিল আস্ত এক শিবলিঙ্গ!জানা আছে পঞ্চেশ্বর মন্দিরের কাহিনী?

বর্তমানে পঁচেট গড় রাজবাড়ির এই শিব মন্দিরকে কেন্দ্র করে মানুষের উত্‍সাহ, ভক্তির অন্ত নেই।তবে কোথায় আছে এই মন্দির?

পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের পঁচেটগড়ে রয়েছে রাজবাড়ি। এই এলাকার নাম পঁচেটেগড় হওয়ার পিছনের কারণও কিন্তু বেশ চমকপ্রদ।

দেশের শাসন ক্ষমতায় তখন মোঘলরা। মসনদে জাহাঙ্গির। এই কালুমুরারিকেই বাংলা, বিহার ও তাম্রলিপ্ত বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেন মোঘল সম্রাট। এই কাজ আরও ভাল করে সামলাতে শুরুতে পটাশপুর এলাকার খাঁড় কল্যাণপুরে বসবাস করতেন কালুমুরারি। তখনই রাজকর্মচারীদের থেকে জানতে পেরেছিলেন ওই রহস্যজনক টিপির কথা।শোনা যায়, যে সময় ঢিপি খোঁড়া হচ্ছিল সেই সময় শিবলিঙ্গটি উদ্ধারের সময় তাতে আঘাত লাগে। ভেঙেও যায়। চিন্তায় পড়ে যান রাজা কালুমুরারি দাস মহাপাত্র। রাজপুরোহিতের নির্দেশে বেনারস থেকে আনা হয় আরও চারটি শিবলিঙ্গ। বসানো হয় আগের শিবলিঙ্গের চারপাশে। ওই শিবলিঙ্গ দিয়েই কালামুরারি দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির। ধীরে ধীরে পঞ্চেশ্বর নামটি প্রচার হতে থাকে এলাকায়। সেই পঞ্চেশ্বর থেকেই আজ পঁচেট গ্রামের নাম।এখানেই রাজা তৈরি করেন তাঁর পঁচেটগড় রাজবাড়ি। পরবর্তীতে রাজবাড়ির রাজারা সকলেই শিবের পুজোয় ব্রতী হন। সকলেই হয়ে যান শৈব।

বর্তমানে শিবরাত্রি উপলক্ষে সেজে উঠেছে এই অলৌকিক শিব মন্দির।সূত্রের খবর,এবারেও বসছে ১০ দিনের মেলা। নামতে চলেছে মানুষের ঢল। শিব চতুর্দশীতে জল ঢালতে আশপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষও এখানে ভিড় জমান। শোনা যায়, এলাকায় অনাবৃষ্টি হলেও মাথায় হাত রাখেন স্বয়ং মহাদেব। বৃষ্টি না হলে এই শিব মন্দিরে ১০৮ টি বেলপাতা সহকারে পুজো শুরু হয়। ঢালা হয় ১০৮ কলসি জল।

 

 

আরো দেখুন:Sandeshkhali:মায়ের কোল থেকে শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ! সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল