শেষে কিনা ‘রক্ষকই ভক্ষক’! হ্যাঁ, সম্প্রতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠল মালদহের মানিকচক এলাকার এক গুণধর পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। এদিন তার কুকীর্তি হাতেনাতে পাকড়াও করল মানিকচকের উগরীটোলা এলাকার গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বারংবার সহবাস করলেও যুবকটি বর্তমানে বিয়েতে অস্বীকার করছে।
আর এরপরই এদিন যুবতীর ঘর থেকে জেল পুলিশে কর্মরত যুবককে পাকড়াও করে তুলে দেওয়া হয় মানিকচক থানার হাতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে মানিকচকের ডোমহাট মদনটোলার যুবক বাপি মন্ডলের। বাপি মন্ডল পেশায় একজন জেল পুলিশ কর্মী। বর্তমানে তিনি নিউ জলপাইগুড়িতে কর্মরত। এলাকাবাসীরা ওই যুবতীর বাড়িতে ঘনঘন আসতেও দেখেছেন এই যুবককে। প্রথমে কিছু না জানা গেলেও পরবর্তীতে তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারে এলাকাবাসী।
তবে বেশ কিছুদিন আগে ওই যুবতী এলাকাবাসীদের জানায় বিগত সাত মাস আগে সেই যুবক জেল পুলিশে চাকরি পেলে তাদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে চাইছে। এমনকি বিয়ের কথা বললে অস্বীকারও করছে। এরপর এদিন অভিযুক্ত যুবক সেই যুবতীর সঙ্গে আবারও দেখা করতে আসলে গ্রামবাসীরা খবর পেয়ে সেই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং সেই যুবক-যুবতীকে একটি ঘরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ তালা বন্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মানিকচক থানার পুলিস এবং সেই যুবক জেল পুলিসকে আটক করে।
যুবতীর দাবী, তাদের মধ্যে দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক চলাকালীন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারংবার সহবাস করেছে ওই যুবক। এমনকি তার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকাও নিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে সাত মাস আগে সে রাজ্য সরকারের জেল পুলিসের চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইনি যুবকটি। বিয়ে করতেও অস্বীকার করছে। তার দাবি, হয় তাকে বিয়ে করতে হবে, নইলে আইনের দ্বারস্থ হবে।
মানিকচক থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই যুবতীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগদায়ের করেছে।অভিযুক্ত যুবককে আটকও করা হয়েছে। এবার পালা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
আরো দেখুন:Cycle yatra:রাম মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে সাইকেল নিয়ে রওনা দুই যুবকের!