রাত ফুরোলেই শুরু হবে কাউন্টিং ইতিমধ্যে জনতা জনার্দন রায় বন্দি স্ট্রং রুমে। মূলত গোটা রাজ্যের সঙ্গে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) সাতটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে, কোথাও কোথাও অশান্তির খবর এসেছে। বেশ কিছু জায়গায় ভোট লুটের চেষ্টা, বোমাবাজি বন্দুক নিয়ে শাসানি আবার কোথাও কোথাও অবাধে ছাপ্পা।
তবে এসবের মধ্যে ভোট পড়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। কোথাও কোথাও ভোটে ভোট পড়েছে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত। এই ভোটকে ঘিরে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর। বিগত দিনে এই জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বামেদের রাজত্ব থাকাকালীনও পৌরসভা গুলি পরিচালনা করতো তৃণমূল যৌথ ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে।
কিন্তু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দখল করে নেয় পৌরসভাগুলোতে। ধীরে ধীরে যতদিন এগিয়ে যায় ততই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করতে থাকে তৃণমূল। ঘাটাল ক্ষীরপাই চন্দ্রকোনা খড়ার রামজীবনপুর অপরদিকে রেল শহর খড়গপুর এবং মেদিনীপুরের পৌরসভা গুলি দাপিয়ে বেড়ায় তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভার আগে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের পর বিজেপির দাপট বেড়ে চলে।
তখন আশা করা যাচ্ছিল বিধানসভা এবং পরবর্তীকালে পৌরসভা নির্বাচনে একচ্ছত্র অধিকার দখল করবে বিজেপি। কিন্তু সেই আশঙ্কা দূর করে দিয়ে বিধানসভায় শোচনীয়ভাবে পরাজয় বিজেপির এবং ক্ষমতায় না আসার ফলে একে একে ধুলিস্যাৎ হয়ে পড়ে বিজেপি।
যদিও ইতিমধ্যে পৌরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের পর দ্বিতীয় পজিশনে বিজেপি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পৌরসভাগুলিতে।এতদিন পর্যন্ত কোন বিজেপি কাউন্সিলর মেদিনীপুর পৌরসভার ছিল না তবে এবারের পৌরভোটে কয়েকটা সিট বিজেপি পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও তৃণমূলের দাবি তাদের সব কটা ওয়ার্ডে বিপুল পরিমাণে ভোট পেয়ে ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল, শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই ভোটে জেতার পর ২০২১ এর যেরকম বাতাবরণ হয়ে উঠেছিল জঙ্গলমহলে চারিদিকে, অশান্তি ভাঙচুর গন্ডগোল সেরকম যাতে না ঘটে তাই ইতিমধ্যে নির্বাচন ফল ঘোষণার আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা (Sujoy Hazra)।
এদিন তিনি এক বৈঠকের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন আগামীকাল ফলাফল ঘোষণার পরই আমরা নিশ্চিত সবকটি আসন তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জিতে আসবে এবং পৌরসভায় দখল করবে। কিন্তু আমাদের কর্মীদের আমরা কড়া বার্তা হিসেবে দিতে চাই, তারা যেন কোথাও দলীয় মিছিল এর নাম করে উৎশৃংখল আচরণ না করে। কোথাও কোনো অশান্তি না ঘটায়।
বরং তারা এলাকায় এলাকায় বিজয় উৎসব করে এলাকাবাসীকে মিষ্টি খাইয়ে দলীয় প্রার্থীদের জেতার জন্য আনন্দ উপভোগ করে। এছাড়াও তিনি কড়া ভাষায় তিনি বলেন যদি কোথাও বিশৃংখল কোন ঘটনা ঘটে তার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে। যদিও তিনি পুলিশ প্রশাসন কেউ কঠোর হাতে দমন করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : Indian Embassy: ভারতীয় নাগরিকদের আজই ইউক্রেন ছাড়ার জরুরি বার্তা দিল ভারতীয় দূতাবাস