বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়া খ্যাত নন্দী সিস্টার্স। অন্তরা ও অঙ্কিতা গেয়ে ফেলেছেন তাদের জীবনের প্রথম প্লেব্যাক গান। হিট ছবি রক্তবীজের সুপারহিট ডান্স নম্বর ‘নাক্কু নাকুড়’-এ শোনা গিয়েছে তাঁদেরই গলা। সঙ্গে মনামির পুজোর গান ‘আইলো উমা’-ও গেয়েছেন অন্তরাই।
তবে ছোটবেলায় বোনের সাথে প্রায়ই তুলনা করা হতো তাকে। এতে তার বোনকে নিয়ে গর্ব হলেও নিজেকে নিয়ে মন খারাপ হতো।
জোশ টকস বাংলাকে অন্তরা (Antara Nandy) জানালেন, ‘একজন আসতেন আমাদের বাড়িতে আমাদের গানের রেওয়াজ করাতে। ও তো বসতই না রেওয়াজে। তাও যখন গাইত উনি মুগ্ধ হয়ে ওর গান শুনতেন। বলতেন বাঁশির মতো ওর গলা। শুনে আমার মাঝে মাঝে রাগ হয়ে যেত। ভাবতাম, ভোর পাঁচটায় উঠে সা আমি লাগাচ্ছি, আর ওর প্রশংসা করছে সবাই!’
নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে স্ট্রাগলের গল্প তুলে ধরেন অন্তরা। জানান তাকে এক সেলিব্রিটি বলেছিলেন তার গলা ভালো না। অত্যন্ত ভেঙে পড়েন তিনি।
অঙ্কিতা জানান, ‘একটা সময় দেখতাম আমি গুনগুন করছি যখনই, লোক আমার প্রশংসা করছে। প্রথমে খুব ভালো লাগত। পরে বুঝতে পারতাম লোক আমার তখনই প্রশংসা করছে যখন দিদি আশেপাশে, বা ওর মন খারাপ। আর আমি তো কোনওদিনই মিউজিশিয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। একটা জিনিস আমার কাছে স্পষ্ট, গান যদি আমার আর দিদির মধ্যে বাধা হয়ে আসে, আমি সেখান থেকেই সরে দাঁড়াব।’
অন্তরা (Antara Nandy) জানান ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিকালের এক ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগ পান তিনি। যা তার জীবনে এক গুরু্বপূর্ণ অধ্যায় পালন করে। তাঁর কথায়, ‘একটার পর একটা লতার গান গাইছিলাম সেদিন। যেই স্কেলে আমার গলা পৌঁছত না, সেটাই করতে পারছিলাম। আমার আর মায়ের, দুজনের চোখ থেকেই জল পড়ছিল।’
আরো পড়ুন: Madhu Chopra: নিককে জামাই হিসেবে মেনে নেওয়ার আপত্তি ছিল মধু চোপড়ার, কিন্তু কেনো?
Image source-Google