প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পত্তি কোটিতে, বর্তমান খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষের রোজগার কত?কত আয় করেন মন্ত্রী জানেন?মোট সম্পত্তির পরিমাণই বা কত?সামনে এলো চমকপ্রদ তথ্য!যা শুনলে ভিরমি খাবেন!
বর্তমানে রেশন দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত যতই এগিয়ে চলেছে ততই নতুন নতুন রহস্য ফাঁস হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার নামে বেনামে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, প্রাক্তন যখন কোটিতে খেলছেন তখন বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের রোজগার কত?সম্পত্তির পরিমাণ বা কত?বর্তমানের সম্পত্তি কি অবাধে উত্থান হয়েছে?
প্রসঙ্গত,প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে আয় ছিল বার্ষিক ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৯১৭ টাকা। পরবর্তী অর্থ বর্ষ অর্থাত্ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তার বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৪৮ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লক্ষ ৪০ হাজার ২৫৫ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৫১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় ছিল ৪০ লক্ষ ২১ হাজার ৯১০ টাকা।
এই জায়গায় বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের রোজগার সম্পর্কে যা জানা গিয়েছে তা হল, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে রথীন ঘোষের রোজগার ছিল ২ লক্ষ ৯ হাজার ৩৫৬ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে রথীন ঘোষের রোজগার কমে দাঁড়িয়েছিল ২ লক্ষ ৬ হাজার ৬০৩ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রোজগার কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৯২ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই রোজগার ফের কমে যায় এবং তা হয় ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৩৭ টাকা। ২০১৯-২০ সালে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫০ টাকা।
রথিন ঘোষের পাশাপাশি তার স্ত্রী কৃষ্ণা ঘোষের সম্পত্তিতেও তেমন কোনো সন্দেহজনক উত্থান পতন নেই। এর পাশাপাশি ২০২১ সালের রথীন ঘোষের ব্যাংকে যে পরিমাণ টাকা জমা ছিল তা হল ১৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল ২২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। প্রাক্তন এবং বর্তমানের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যাবে, রথীন ঘোষ সম্পত্তিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেন নি।
রথীন ঘোষ এবার প্রথম ভোটে দাঁড়িয়ে জয় যুক্ত হওয়ার পর মন্ত্রী হয়েছেন এমন নয়। এর আগেও তিনি ২০১১, ২০১৬ সালে মধ্যমগ্রাম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়যুক্ত হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে বিরোধীদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দেখার বিষয় খাদ্য মন্ত্রী হওয়ার পর তার সম্পত্তি কতটা বাড়ে।এখন এই রেশন দুর্নীতি কান্ড কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার!
*ব্যুরো* *রিপোর্ট*