দুর্গাপুজোর আবহে ফুটবলের শহর কলকাতায় পৌঁছে গেলেন বিশ্ব ফুটবলে জাদুকর হিসেবে পরিচিত রোনাল্ডিনহো। ২০০২ সালে ব্রাজিল যখন পঞ্চমবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রোনাল্ডিনহো। বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব ফুটবলেও অসাধারণ সাফল্য পেয়েছেন রোনাল্ডিনহো। তিনি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।

অবসর নেওয়ার পরেও সারা বিশ্বে এই ফুটবলার প্রচণ্ড জনপ্রিয়। তাঁর খেলার ভিডিও এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত দেখা যায়। কলকাতার তরুণ প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীরাও ব্রাজিলের এই তারকার অনুরাগী। সেই কারণে এদিন বিমানবন্দরে রোনাল্ডিনহোকে স্বাগত জানানোর জন্য হাজির হয়েছিলেন বহু ফুটবলপ্রেমী। এই শহরে পৌঁছে সাদর অভ্যর্থনা পেয়ে খুশি রোনাল্ডিনহো।

রবিবার বিমানবন্দরে রোনাল্ডিনহোকে একবার দেখার জন্য ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁকে স্বাগত জানাতে ব্রাজিলের পতাকা হাতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ফুটবল প্রেমীরা। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরে। তিনি উত্তরীয় পরিয়ে, বিশ্বকাপের রেপ্লিকা ট্রফি উপহার দিয়ে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলারকে বিশেষ ভাবে স্বাগত জানান।

সোমবার সকালে মার্লিন গ্রুপের অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে নিজের নামাঙ্কিত অ্যাকাডেমিতে জঙ্গলমহলের ফুটবলারদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তার পর পরপর কলকাতার দু’টি বিখ্যাত পুজো মণ্ডপে যাবেন ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য।

প্রথমে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমিতে যাবেন। সেখান থেকে আহিরিটোলা যুবকবৃন্দের পুজোতে যাবেন। তার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে রোনাল্ডিনহোর। সেখানে সম্ভবত নিজের সই করা জার্সি উপহার দেবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সোমবার সন্ধ্যের সময়ে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির একটি ইভেন্ট আছে। রাতে আরও দু’টি পুজোয় যাওয়ার কথা তাঁর।

মঙ্গলবার সকালে সেন্ট জেভিয়ার্সের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রোনাল্ডিনহো। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তার পরেই আসল অনুষ্ঠান। যার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।

 

আরো দেখুন:Railways:শান্তনু ঠাকুর হাতে বনগাঁ স্টেশন সূচনা হল চলমান সিঁড়ির, খুশি যাত্রীরা