শিক্ষকদের মিছিল এবং ধর্নার অনুমতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস.শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মিছিলের অনুমতি চাওয়া শিক্ষকদের ভর্ৎসনার সুরে সাফ জানিয়ে দেন,” শিক্ষকতা করতে হবে না, রাস্তাতেই থাকুন। রোজ ১৫টা করে মিছিল। স্কুলের বাচ্চারা হয়রানির শিকার হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স আটকে যাচ্ছে। রাস্তায় পড়ে থেকে মানুষ মারা যাচ্ছে। কাজ করতে হবে না, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ করে যান। পুলিশ লাঠিচার্জ করুক। কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করুক। এদের জন্য আমার কোনো সহমর্মিতা নেই। নিজেদের কায়েমি স্বার্থ ছাড়া সবাইকে অবহেলা করছে। মানুষের কথা ভাবে না কেউ। অফিসযাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, DA এবং অন্যান্য দাবি নিয়ে বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের সংগঠন মিছিল ও বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না দিতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। এদিন প্রধান বিচারপতি টি.এস. শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। আর সেখানেই শিক্ষকদের আচরণে ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রধান বিচারপতি টি.এস. শিবজ্ঞানম বলেন, “এদের জন্য আমার কোনও সহমর্মিতা নেই। নিজেদের কায়েমি স্বার্থ ছাড়া সবাইকে অবহেলা করছে। মানুষের কথা ভাবে না কেউ।”
পাশাপাশি এও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়। অন্ততপক্ষে পুজোর আগে তো শুনানি সম্ভব-ই নয়। প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট মন্তব্য, মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু সব ভুলে সবাই শুধু রাস্তায় নেমে পড়ছে। অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারছে না, রাস্তায় লোক মারা যাচ্ছে। কিন্তু তাতে কারও কোনো চিন্তা নেই। সবাই শুধু জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ বলে চিৎকার করে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের প্রতি কোনো সহমর্মিতা দেখাতে পারবেন না তিনি। পুজোর আগে এই মামলা তিনি শুনবেন না। তাই তাকে যেন বাধ্য না করা হয়।
আরো দেখুন:Durgapuja:পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে ভুট্টা দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা!