পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের (Rathin Ghosh) বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দিনভর টানা তল্লাশি চলার পর রাত দেড়টার সময় ইডির আধিকারিকরা রথীনবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ২০ ঘন্টা পর অবশেষে তল্লাশি শেষ হয় ইডির।
মধ্য রাতে যখন ইডি মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরোয় তখনও সেখানে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় করেছিলেন। এত ভিড়ে অধিকারিকদের বেরোতে অসুবিধা হচ্ছে দেখেয়ে খাদ্যমন্ত্রী নিজেই তাদের বেরোতে সাহায্য করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে মন্ত্রী বলেন, ‘ইডি আধিকারিকরা খারাপ আচরণ করেনি। পৌর নিয়োগ নিয়ে তাদের বোঝার ক্ষেত্রে অনেক গোলযোগ আছে। আমি একটা বই দিয়ে ইডি আধিকারিকদের তদন্তে সাহায্য করেছি।’
২০ ঘন্টা তল্লাশির পর ইডি অফিসাররা বেড়িয়ে গেলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে রথীনবাবু বলেন, তার বাড়ি থেকে কোনও রকম নথি পাওয়া যায়নি। মন্ত্রীর দাবি, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তার বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়।
প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যজুড়ে বৃহস্পতিবার ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারপার্সন ও পুরসভার আধিকারিকদের বাড়িতেও চিরুনি তল্লাশি চলে। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা,দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত, বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতেও তল্লাশি চলে বলে জানা যায়।