ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেন রেলকর্মীই!প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোবরা স্টেশন,গ্রেফতার ৩!

রেল গেট পার হতে গিয়ে বিপত্তি। এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চলল স্টেশনে। ছুটে এল রেলের বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁদের সঙ্গেও চলল ধস্তাধস্তি। রাতভর ব্যাপক উত্তেজনা স্টেশন চত্বরে। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে রইল রাস্তা।ঘটনা হুগলির গোবরা স্টেশনের।

সূত্রের খবর,শনিবার রাত নটা দশ নাগাদ হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের গোবরা স্টেশনের রেলগেট বন্ধ ছিল।সে সময় কয়েকজন রেলগেট পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এক সঙ্গে তিনটে লাইনে ট্রেন এসে যায়। বাকিরা সরে যান। তবে এক ব্যক্তি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি ডানকুনির চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে।

ঘটনার পরই প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কামারকুণ্ডু জিআরপি থানার পুলিশ, আরপিএফ ও ডানকুনি থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চলে টিকিট কাউন্টারেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোবরা স্টেশন দিয়ে দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন যায়। কোনও ঘোষণা হয় না। ফলে বোঝা যায় না কখন ট্রেন আসছে, কোন লাইনে ট্রেন আসছে। যেকোনো ট্রেন তা লোকাল বা দূরপাল্লার যাই হোক না কেন ঘোষণা করতে হবে বলেই দাবি বিক্ষোভকারীদের।

এদিকে এই ঘটনায় টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর এবং উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার হাওড়া আদালতে ধৃতদের পাঠায় রেল পুলিশ। ওই তিন অভিযুক্তই হুগলির গোবরার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের নাম শেখ সইদুল ইসলাম, শেখ এবাদুল এবং শুভজিত্‍ মণ্ডল।

আরো দেখুন:বিমানে কোন ফল নিয়ে যাত্রা করা একেবারে নিষিদ্ধ?ধরা পড়লে হাজতবাস হতে পারে,জানেন?